UGC: সুখবর দিল ইউজিসি (UGC)। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন জানিয়েছে, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Foreign Universities) ভারতে তাদের ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয় এই ক্যাম্পাস পরিচালনার ব্যাপারে তারা স্বশাসিত সিদ্ধান্তও নিতে পারবে। ভর্তির প্রক্রিয়া, খরচের পরিকাঠামো - এইসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বুধবার ৮ নভেম্বর ইউজিসি- র এই নতুন নোটিফিকেশন প্রকাশ্যে এসেছে। ইউজিসি- র এই রেগুলেশনের ড্রাফট চলতি বছর জানুয়ারিতেই প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার প্রকাশিত হল রেগুলেশন। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসারে এই নয়া নোটিফিকেশনের গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। এর সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবার ভারতে কাজ করার সুযোগ পাবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারতীয়দের কিছু সংখ্যকের মধ্যে বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার যে হিড়িক রয়েছে তা হয়তো ইউজিসি- র নতুন গাইডলাইনের ভিত্তিতে কিছুটা কমতেও পারে।
ইউজিসি- র চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমার জানিয়েছেন, ভারতে বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিকে জায়গা করে দেওয়াই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এর সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াদের বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার সঙ্গেও পরিচয় করানো হবে। এছাড়াও বিদেশের যেসব প্রতিষ্ঠান ভারতের মাটিতে ক্যাম্পাস তৈরি করবে। সেখানে যেন বিদেশের ক্যাম্পাসের মতোই পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলবে। সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনেই চালু থাকবে বিশ্বমানের পড়াশোনা। এবার দেখা যাক কোন ধরনের বিদেশি প্রতিষ্ঠান ভারতের মাটিতে ক্যাম্পস তৈরি করতে পারবে।
ভারতে যে সমস্ত বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে ইচ্ছুক তাদের বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে প্রথম ৫০০-র মধ্যে থাকতে হবে। অথবা বিষয় ভিত্তিক ক্যাটেগরির নিরিখে প্রথম ৫০০- র মধ্যে থাকতে হবে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এর পাশাপাশি ইউজিসি জানিয়েছে, যদি এইসব প্রতিষ্ঠান তাদের ক্যাম্পাসে বিদেশি অবদান গ্রহণ করতে চায় তাহলে Foreign Contribution (Regulation) Act, 2010 অনুসারে আগামে অনুমোদন চাইতে হবে। সেই সঙ্গে FCRA- এর আওতাধীন আইনি নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেসমস্ত বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস তৈরি করবে সেখানে তারা একাধিক কোর্স চালু করতে পারবে। এই তালিকায় থাকছে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডক্টরাল, পোস্ট-ডক্টরাল, ডিপ্লোম ডিগ্রি, রিসার্চ বা গবেষণা, বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স।
ফরেন ইউনিভার্সিটিগুলি ভারতে কোনও লার্নিং সেন্টার, স্টাডি সেন্টার কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি অর্থাৎ শাখা খুলতে পারবে না যেগুলি মূল সংস্থার প্রতিনিধি কাজ করবে।বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভারতে থাকলেও সেখানে কোনও নতুন প্রোগ্রাম শুরুর আগে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। কোনও প্রোগ্রাম অনলাইন কিংবা ওপেন বা ডিসট্যান্স লার্নিং হিসেবে কাজ করতে পারবে না। সমস্ত প্রোগ্রামের ১০ শতাংশ লেকচার বা পঠনপাঠন অনলাইনে হতে পারে, তবে তার বেশি নয়। দু'টি বা তার বেশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় একজোট হয়ে ভারতে ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে। তবে নিয়ম কানুন দুটো প্রতিষ্ঠানকেই মানতে হবে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে ভারতে। তবে প্রতিটির জন্য আলাদা করে আবেদন জানাতে হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস গঠন করলেও ইউজিসিকে বার্ষিক কোনও ফি দিতে হবে না। কেবলমাত্র একটি এককালীন অ্যাপ্লিকেশন ফি দিতে হবে ইউজিসিকে। নিজেদের পরিকাঠামো, ফিজিক্যাল এবং হিউম্যান রিসোর্স, জমির উপর ভিত্তি করেই ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এছাড়াও পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি অর্থাৎ স্কলারশিপ এবং কনসেশন অর্থাৎ ছাড়ের ব্যবস্থাও করতে পারবে তারা।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI