প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: তল্লাশির পর এবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps And Bounds) সহকারী হিসাবরক্ষক (Assistant Accountant) চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Chandan Banerjeee) তলব করল ইডি (ED Raid)। আজ সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে চন্দনের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেন ইডি-র অফিসাররা। সূত্রের খবর, আজ চন্দনের সামনেই তাঁর ফোন খুলে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা হবে।
আর কী?
সূত্রের খবর, তল্লাশির দিন সংস্থার অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা প্রায় ১ হাজার নথির তথ্য যাচাই করে যে সংস্থাগুলির নাম পাওয়া গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডলের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। প্রসঙ্গত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এই কর্মীই ইডি-র বিরুদ্ধে ১৬টি এক্সেল ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ জানান লালবাজারে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফাইল ডাউনলোডের সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করে গত কাল কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠিও দেয় ইডি।
কীসের অভিযোগ...
গত ২৬ অগাস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ইডির অভিযান ঘিরে অভিযোগের অনুসন্ধান করে লালবাজার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ করেছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। সংস্থার সহকারী হিসারক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। তাতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ২ কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত কাল, অর্থাৎ রবিবার ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের কারণ ব্যাখ্যা করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয় ইডি। চিঠিতে উল্লেখ, নিউ আলিপুরে সংস্থার অফিসে তল্লাশি অভিযান শেষের আগে ইডি-র এক তদন্তকারী অফিসার শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওয়েবসাইট খুলেছিলেন। ইডি-র দাবি, ওই অফিসারের ১৮ বছরের মেয়ের ২৩ অগাস্ট থেকে কলেজে নতুন ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। যাদবপুরের র্যাগিংকাণ্ডের পর রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিলেন ওই ইডি অফিসার। তাই মেয়ের জন্য হস্টেল খুঁজতে গিয়ে এই ১৬টি ফাইল কোনওভাবে ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে। চিঠিতে ইডি-র দাবি, অভিযোগকারী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তিন কর্মীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পুরোটাই সিসি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেই কলকাতা পুলিশকে এই চিঠি বলে ইডি জানিয়েছে। চিঠিতে ইডি-র আরও দাবি, ওই দিন গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া ও তল্লাশি অভিযান PMLA-র ১৭ নম্বর ধারা মেনেই চালানো হয়েছিল। কোনও বেআইনি কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন:কলকাতা পুলিশে এসআই পদে হচ্ছে নিয়োগ,এই যোগ্যতা থাকলেই করুন আবেদন