শিবাশিস মৌলিক, অনির্বাণ বিশ্বাস এবং আশাবুল হোসেন, কলকাতা: মহেশতলা, এগরা, বজবজ, ইংরেজবাজারের পর এবার দত্তপুকুর (Duttapukur)। ফের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। একাধিক দেহ উদ্ধার হলেও এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন দেহ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আশপাশের একাধিক বাড়ি। বেশ কয়েকটি বাড়ির চাল উড়ে যায়। ভেঙে পড়ে দেওয়াল। স্থানীয়দের অভিযোগ, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সব জানতেন, প্রশাসনের মদতেই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বেআইনি বাজি তৈরি হত। 


এদিকে, দত্তপুকুরের এই ঘটনার পর বিস্ফোরণস্থলে যান রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, 'এই দুর্ঘটনা নিছকই কোনও ভুলবশত দুর্ঘটনা নয়। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তাঁরা সত্যিটা খুঁজে বের করবে।'                                                                          


এগরা, বজবজের ঘটনার পরও কেন শিক্ষা নেয়নি প্রশাসন? কেন এখনও রাজ্যে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বাজি কারবার? কেন থামছে না মৃত্যুমিছিল? রবিবার দত্তপুকুরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর, যখন এই প্রশ্নগুলি ফের বিস্ফোরিত হল, তখনই এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।


রাজ্যপালের কথায়, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সতর্ক থাকবে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। এদিকে দত্তপুকুর নিয়ে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণ করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'যদি কারও কোনও অনিয়ম হয়ে তাকে, বেআইনি কিছু হয়ে থাকে, পুলিশ দেখছে। রাজ্যপাল সেখানে শকুনের রাজনীতি করছেন। কেন উনি গিয়ে ওখানে কী করবেন?


আরও পড়ুন, দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের নেপথ্যে সন্ত্রাস-যোগ নেই তো? উঠে আসছে খাগড়াগড় স্মৃতি


এদিন উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে, বিমানবন্দর হয়ে সোজা দত্তপুকুর চলে যান রাজ্যপাল। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। ফিরে আসার সময়, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা তাঁকে একটি বাজির গুদাম দেখার জন্য অনুরোধ করেন। সেই মতো, ওই গুদাম ঘর দেখতেও যান রাজ্যপাল। কিন্তু সেটি তালাবন্ধ থাকায় ফিরে আসতে হয় তাঁকে। 


এরপর বিস্ফোরণস্থল থেকে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান রাজ্যপাল।