আবির দত্ত, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Recruitment Scam ) আজ কালীঘাটের কাকু( Kalighat r kaku )  ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তলব করেছিল ইডি ( ED )। নির্ধারিত সময়েই তিনি ইডি দফতরে গিয়ে পৌঁছন। এর আগে তাঁর বেহালার বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালানো হয়।


এরপর পার হয়ে গিয়েছে ৩ ঘণ্টা ।  ‘কালীঘাটের কাকু’কে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে গিয়েছে ইডি। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে ইডি। 

ইডি সূত্রে দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকুর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ওই সমস্ত কোম্পানির ডিরেক্টর, হিসাবরক্ষক ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সূত্রের খবর, সেইসব বয়ান সামনে রেখেই আজ সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন


ইডি-র দাবি, তল্লাশিতে মিলেছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ। সূত্রের খবর, এই সমস্ত সম্পত্তি কার টাকায় কেনা হয়েছিল, সেই টাকা কোথা থেকে এসেছিল, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।  


এর আগে, চার্জশিটে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল,  বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের DIP ডেভলপার্সের ১ হাজার ২০০ স্কোয়ার ফুটের একটি কমার্শিয়াল স্পেস কেনার জন্য ২০২০ সালে অগ্রিম হিসেবে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশির পর, ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, আয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যয়ের সামঞ্জস্য মেলেনি। সূত্রের দাবি, এত সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তা নিয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে সুজয় ভদ্রের কথাতেও।

শনিবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের দিনে, কালীঘাটের কাক সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল ইডি। এবার ইডি-র তলবে কি সাড়া দেবেন তিনি? 'কালীঘাটের কাকু'কে জিজ্ঞাসাবাদে কি মিলবে কোনও নতুন সূত্র? সেটাই দেখার।     


নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে 'কালীঘাটের কাকু'র নাম সবার প্রথমে শোনা যায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির মুখে। কালীঘাটের কাকু কে, তাঁর আসল নাম কী? তা প্রথম শোনা যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে। এরপর প্রথমবার প্রকাশ্য়ে এসে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই জানান, তিনি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের অফিসে চাকরি করেন। এর আগে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে CBI-এর অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁর ব্যাঙ্ক এবং আয়করের নথিও জমা নেওয়া হয়েছিল।