কলকাতা: ৬ দিনের মধ্যে ৩ বার। রাজ্যপালের (Bengal Governor) মুখে ফের একবার দুর্নীতি ও হিংসার প্রসঙ্গ। রাজ্যের প্রধান দুই শত্রু হিংসা ও দুর্নীতি। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) মুখে উঠে এসেছে একথা। এবার, ২২ শে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুদিনে (Rabindranath Tagore Death Anniversary) , তাঁরই কবিতা উদ্ধৃতি করে, রাজ্য়পাল বললেন, গুরুদেব যে বাংলার কথা বলেছিলেন, তা আর নেই। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ার আগে আমাদের ঐক্য়বদ্ধ হতে হবে। এবার হিংসা ও দুর্নীতির শেষের শুরু। আর রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। (Bratya Basu)
রাজ্যপালকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর: গতকাল রাজ্যপাল বলেন, "গুরুদেব বলেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য়, উচ্চ যেথা শির। এখনকার বাংলা সেই বাংলা নেই। এখনও দেরি হয়ে যায়নি। তবে, অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগে, আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। মানুষ চায়, হিংসা ও দুর্নীতি বন্ধ হোক। এটা তখনই সম্ভব, যখন সবাই ঐক্য়বদ্ধ হবে। দুর্ভাগ্য়বশত গুরুদেবের বাংলার বর্তমান যে পরিস্থিতি, তা ঠিক করতে হবে। এটাই দুর্নীতির শেষের শুরু। হিংসার শেষের শুরু।'' এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্রাত্য বসু বলেন, "ওঁর মাথা হেঁটে হয়ে যাচ্ছে, বলব সানগ্লাস না যেন পরে না যায়, হেঁট হয়ে হওয়ার সময়।''
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বর্তমানে তুঙ্গে উঠেছে রাজ্য়-রাজ্য়পাল সংঘাত। বন্দিমুক্তি নিয়েও রাজ্য় সরকারের কাছে ব্য়াখ্য়া চেয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। এরই মধ্য়ে ফের একবার রাজ্য়ে হিংসা ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে রাজনৈতিক হিংসার প্রেক্ষাপটে রাজ্যবাসীর অভিযোগ শুনতে রাজভবনে 'পাবলিক পিস রুম' খুলেছিলেন রাজ্য়পাল। এরপর, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য়, রাজভবনে নজিরবিহীনভাবে অ্য়ান্টি করাপশন সেল খোলেন সিভি আনন্দ বোস। কী কারণে এই অ্য়ান্টি করাপশন সেল খুলেছেন, তার যুক্তি দিতে গিয়ে কৌশলে মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্য়কেই হাতিয়ার করেন রাজ্য়পাল। দুদিন আগেই, রাজ্য়ের হিংসা ও দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে, রেলমন্ত্রীকে কলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে দার্জিলিং পর্যন্ত পিস ট্রেন চালানোর অনুরোধ করেন তিনি। সি ভি আনন্দ বোস বলেন, “কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এই ট্রেন চলবে। আমি একজন রাজ্যপাল হয়ে যাঁরা শান্তির বার্তা বাহক তাঁদের রাজভবন দার্জিলিং নিয়ে যাবো। আমরা একতা পিস রান করবো সেখানে। হিংসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি নেওয়া হবে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। সকলেই শান্তি চান। কেউ হিংসাকে সমর্থন করে না।’’
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: আদালতে হঠাৎ মমতার উল্লেখ, নেপথ্যে কোন কৌশল, কাকে বার্তা দিতে চাইছেন পার্থ?