কলকাতা : অনেকের খবরের জন্য অনেকেই ভরসা রাখেন নেটমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া খবরকে সত্যি বলে ধরেও নেন অনেকে। তেমন শনিবার নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি খবর রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। বিশেষত আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন অনেক শিক্ষকদের অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে,  সরকারি শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই বিবৃতি কার্যত হু হু করে শেয়ার হতে শুরু করে বিভিন্ন গ্রুপে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কাছে প্রশ্নও করেন অনেকেই।


বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছিল, রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুল শিক্ষকদের অবসর ৫ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আর ৬০ নয়, ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন শিক্ষকরা। এই নোটিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লেও শিক্ষকরা সবাই অবশ্য বিশ্বাস করেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তরজা শুরু হয়ে যায়। কেউ দাবি করেন এই নোটিস সত্যি। আবার অন্য পক্ষ দাবি করে, এ ভাবে রাতারাতি অবসরের বয়স বাড়িয়ে দেওয়া যায় না। নোটিসটি ভুয়ো। জল্পনা বাড়তে থাকলে মুখ খুলতে হয় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে।


শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সোশ্যাল মিডিয়াতেই পোস্ট করে জানান আসল সত্যিটা। ব্রাত্য জানিয়েছেন, এই সংবাদ ভুয়ো। সরকার এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী লেখেন, 'গতকাল রাতে কয়েকটি সমাজ মাধ্যমে একটি খবর প্রচারিত হয়েছে যে,রাজ্য সরকার শিক্ষকদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ ভুল ও ভ্রান্তিমূলক। এমনভাবে ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রচেষ্টা বাস্তবিকই অর্থহীন। এ ধরনের বিভ্রান্তি সমাজমাধ্যমে প্রচার না করার আবেদন জানাচ্ছি।'


সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়া এই জল্পনা অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলেও শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের পর আপাতত সবটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। 






 আরও পড়ুন : চিনে বাড়বাড়ন্তের মাঝেই, ভারতে প্রথম HMPV আক্রান্ত ৮ মাসের শিশু