কলকাতা: রাজ্যপালের (Governor C V Ananda Bose) সঙ্গে ফের সংঘাতে শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister)। 'মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) আচার্য করতে গত বছর জুনে বিধানসভায় বিল পাস হয়েছিল। অনন্তকাল ধরে সেই বিল ফেলে রাখতে পারেন না', বার্তা ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)। সঙ্গে বললেন, 'রাজ্যপালকে বলেছি, দয়া করে সই করুন। না হলে ফেরত পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে আমরা কোনও নিয়ন্ত্রণ চাই না। কিন্তু বাইরের কেউ নিয়ন্ত্রণ চাইলে, আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এতে কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয় আগামীদিনে অচলাবস্থার দিকে যাবে। আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কোনও মনোনীত মানুষ পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।'


এক কথা আগেও...
দিনদশেক আগেও এক কথা শোনা গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর মুখে। বলেছিলেন, “রাজ্যপালকে আচার্য চাই না, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চাই। নৈতিক অর্থে আমাদের কাছে আচার্য মুখ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে বিলে সই করুন, না হলে ফেরত পাঠান। আবার বিধানসভায় বিল পাস করব। শ্বেতহস্তীর মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে উপাচার্য ঠিক করছেন। যেখানে সেখানে চলে যাচ্ছেন, অনুদান দিচ্ছেন।’’ সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজভবন। তাতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমতি নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে ই-মেল মারফত জানাতে হবে। আচার্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে পারবেন উপাচার্য। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানান শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি অভিযোগ, সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি উপাচার্যদের থেকে জানতে পেরেছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।যে চিঠি নিয়ে এত বিতর্ক সেই চিঠির আইনি বৈধতা নেই, আরও দাবি তাঁর। একই সঙ্গে চিঠি প্রত্যাহার করার দাবিও করছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলে সরাসরি বিরুদ্ধাচরণ করছেন। এমনকী পুরনো রাজ্যপালদের কথা বলে বর্তমানকে কটাক্ষ করছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক প্রতিযোগীর নয় সহযোগীর। ইউজিসি-র প্রতিটি সমীক্ষায় রাজ্য উচ্চস্থানে আছে। আমরা কোনও দ্বৈরথ চাইনা, সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। রাজ্যপালের চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় আছে। রাজ্যপাল যা বলতে চান তা পরিষ্কার করে বলুন অথবা কাজে তা প্রকাশ করুন। সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়েছে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এই চিঠি সেই সাংবাদিক বৈঠকের অভিমুখের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে বলেছি আইনে কী সংস্থান আছে দেখতে।'


আরও পড়ুন:দহনজ্বালা থেকে নেই নিস্তার, কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে ফের বাড়বে তাপমাত্রা