কটক: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু হল। কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ভানু বাগের। মৃত্যুর আগে নেওয়া যায়নি বয়ান, সিআইডি সূত্রে খবর। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ভানুর বয়ান নেওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের পর এলাকা থেকে পালিয়েছিলেন ভানু। কটকের হাসপাতালে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ।


ঝলসে যান ভানুও: কটকের রুদ্র হাসপাতালে গতকাল রাত ২ টো ৪০-এ নাগাদ মৃত্য়ু হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিকের। মঙ্গলবার এই ভানুর বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরকাণ্ডে প্রাণ হারায় ৮ জন। ঝলসে যান ভানুও। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই অবস্থাতেই ছেলে আর ভাইপোর সঙ্গে পাশের রাজ্য ওড়িশায় পালান এগরার বাজি-বাদশা! প্রায় ২৭০ কিলোমিটার দূরে, কটকের রুদ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভানুকে। গতকালই ভানুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ১২টায় চিকিৎসকদের নিয়ে সিআইডির টিম যায় স্টেটমেন্ট রেকর্ড করার জন্য়। কিন্তু কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না অভিযুক্ত। এর ২ ঘণ্টা পরই মৃত্য়ু হয় ভানুর। 


বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু বাগ: ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বোমা তৈরি হত বলে অভিযোগ ওঠে। ১৬ মে ভানুর বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন ভানু বাগ, শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছিল। ‘বিস্ফোরণের পর বাইকে চেপে এলাকা থেকে পালান ভানু বাগ। ছেলে-ভাইপোর সঙ্গে বাইকে চেপে পালান ভানু। ঝলসে যাওয়া অবস্থাতেই বাইকে চেপে ওড়িশায় পালান ভানু'। বাইকে করে প্রথমে বালেশ্বর যান ভানু, ভর্তি করা হয় এফএমএমসিএইচ হাসপাতালে। 'অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আহত হওয়ার কথা বলেন ভানু। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় কটকের রুদ্র হাসপাতালে'।                                                                                       


অন্যদিকে, এগরায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, খাদিকুল গ্রামের ২ বাসিন্দা ২৬ বছরের পিঙ্কি মাইতি ও ৩৮ বছরের রবীন্দ্রনাথ মাইতি। দু'জনেই ভর্তি SSKM-এর রোনাল্ড রস বিল্ডিংয়ের বার্ন ওয়ার্ডে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু'জনের শারীরিক অবস্থাই অত্য়ন্ত সঙ্কটজনক। শরীরের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ ঝলসে গেছে। ২ জনকেই রাখা হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পিঙ্কি মাইতির শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। গতকাল তাঁর প্রবল রক্তক্ষরণ হয়। সংক্রমণের মাত্রাও বেড়েছে। রক্ত দেওয়া হয়েছে পিঙ্কিকে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে তাঁর এক বছরের সন্তান রয়েছে। অন্য়দিকে, রবীন্দ্রনাথের পরিবারের দাবি, গতকালের থেকে আজ কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য়ের উন্নতি হয়েছে রবীন্দ্রনাথ মাইতির। গতকাল তাঁর ড্রেসিং, ব্য়ান্ডেজ করে, ত্বক পরিষ্কার করা হয়। প্লেটলেট দেওয়া হয়।