কলকাতা: রাজ্যের পরবর্তী ডিজিপি হচ্ছেন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় (IPS Sanjay Mukherjee)। সঞ্জয়ের নামেই চূড়ান্ত সিলমোহর দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গতকালই রাজীব কুমারকে ডিজিপি-র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পর অন্তর্বর্তী ডিজিপি-র দায়িত্বে আসেন বিবেক সহায়। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী তিন আইপিএস অফিসারের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিবেক সহায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, রাজেশ কুমারের নাম প্রস্তাব করে রাজ্য। (WB News DGP)
ওই তিন নামের মধ্যে থেকে ডিজিপি হিসেবে সঞ্জয়ের নামে মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিলমোহর দিল কমিশন। ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস সঞ্জয় মুখোপাধ্য়ায় বর্তমানে দমকলের ডিজি-র দায়িত্বে আছেন। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজিপি-র দায়িত্ব নিতে নির্দেশ। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পর রাজ্যের একদিনের DGP তকমা বসে গেল বিবেকের নামের পাশে। সম্ভবত, সবচেয়ে কম সময়ের DGP হিসেবে দায়িত্ব সামলালেন তিনি।
গতকাল রাজীব কুমারকে যখন সরানো হয়, তাঁর সিনিয়রকে DGP করার কথা বলা হয়। তার পরে বিবেক এবং রাজেশের নামও পাঠানো হয় রাজ্যের তরফে। তবে সঞ্জয়কেই বেছে নিল কমিশন। আগামী ৩১ মে অবসর নিচ্ছেন বিবেক। লোকসভা নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ৪ জুন। সেই কারণেই তাঁর পরিবর্তে সঞ্জয়ের নামে সিলমোহর পড়ল কি না, শুরু হয়েছে জল্পনা।
এর আগে, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (CID) ADG সঞ্জয়। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচন তাঁর তত্ত্বাবধানেই সম্পন্ন হবে। বিরোধীরা লাগাতার রাজীবের বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন রাজীব। তাই নির্বাচন কমিশনের নজরে ছিলেন রাজীব। এর আগে, বাংলায় এসেও কড়া বার্তা দিয়ে গিয়েছিল কমিশন। পক্ষপাতহীন অবস্থানের কথা বলে গিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরই রাজীবকে সরিয়ে একদিনের জন্য বিবেককে দায়িত্বে আনা হয়। শেষ পর্যন্ত সঞ্জয়ের নামে সিলমোহর পড়ল।
যদিও কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন করানোর দাবি তুলেছে তারা। দলের নেতা শান্তনু সেন বলেন, "নরেন্দ্র মোদি আগেও কমিশনের রীতিনীতি ভেঙেছেন দেখেছি আমরা। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরও সরকারি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার করছেন। সরকারি বিমানে চেপে প্রচারে যাচ্ছেন। রাজীব কুমারের তিন বছর হয়নি, তা সত্ত্বেও বিজেপি-র অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। এই কমিশন বুঝিয়ে দিচ্ছে, বিজেপি-র নির্দেশে কাজ করছে তারা। তাই আমরা চাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন হোক। "