রুমা পাল, বিটন চক্রবর্তী ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: লোকসভা কেন্দ্রের (Lok Sabha Election) অধীনে কতগুলো স্পর্শকাতর বুথ এবং অঞ্চল রয়েছে, জেলাশাসকদের কাছে সেই তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এদিকে, কমিশন সূত্রে দাবি, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই, রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 


এগিয়ে আসছে লোকসভা ভোট (Parliament Election 2024)। সূত্রের খবর,  খুব তাড়াতাড়ি দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। এবার জেলাশাসকদের কাছে বেশ কিছু তালিকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে কতগুলো স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে? কতগুলো অঞ্চল স্পর্শকাতর? সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের তুলনায়, এবার স্পর্শকাতর বুথ এবং স্পর্শকাতর অঞ্চল বেড়েছে কি না, তার তথ্যও চাওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, স্পর্শকাতর বুথের উপর নির্ভর করেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।


বিজেপি (BJP MP) সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'লজ্জা বাংলার এটা, আজ নির্বাচনের আগে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। আমরাও অনেক ব্য়থা নিয়ে এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি।' সূত্রের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই, রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force in West Bengal)। ভোটারদের আস্থা জোগাতেই এই সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh on Central Force Deployment) বলেন, '৮ দফায় হয়েছিল, আমরা ভেবেছিলাম বিজেপি বলবে ১৬ দফা চাই, তারপর বলবে ৪২ দফা চাই। কেন্দ্র কিছু ভোট চাই। দম ফুরিয়ে গেল?' ২৪ ফেব্রুয়ারি জেলা শাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তারপর, ৪ মার্চ ৩ দিনের সফরে রাজ্যে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এরপরই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


এর আগেই আসন্ন লোকসভা ভোটের কারণে বাংলার জন্য বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commision)। জম্মু-কাশ্মীরকেও ছাপিয়ে গিয়েছে সেই সংখ্যা। লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য সবচেয়ে বেশি, ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে (Home Ministry of India) চিঠিও দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। 


বাংলায় ভোটে সন্ত্রাস হয়, সেই কারণেই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। বাংলার পরে সবচেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের জন্য। বাংলার চেয়ে প্রায় ৩০০ কোম্পানি কম বাহিনী চাওয়া হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য। বাংলার জন্য ৯২০ কোম্পানি চাওয়া হয়েছে, আর অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ৬৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাহিনী চাওয়া হয়েছে। বাংলায় স্ট্রং রুমের জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য চিঠি। লোকসভা ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই কি এত বাহিনী চাইল কমিশন?


আরও পড়ুন: মোদির বঙ্গসফরে সাক্ষাৎ সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের? ইঙ্গিত সুকান্তর