রুমা পাল, সুনীত হালদার ও দীপক ঘোষ, কলকাতা: নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের চিঠি ঘিরে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে শোরগোল। রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে নতুন করে পাঠানো হল আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা, যাঁদের ভারতীয় নথি রয়েছে।

Continues below advertisement



আরও পড়ুন, একসময় গ্রেফতার হয়েছিলেন যাদবপুরের এই প্রাক্তনী, এবার স্পেনে ফেরার আগে অনামিকার রহস্যমৃত্যু নিয়ে কী বললেন হিন্দোল মজুমদার ?


বাংলাদেশের পাসপোর্টের পাশাপাশি রয়েছে ভারতের নথিও। এরকম বাংলাদেশি নাগরিকের নামের তালিকা রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে কাছে ফের পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস। আগেও এরকম নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। এবার, সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একাধিক নাম!যেমন, চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক সীমা রানি মুন্সী এবং তাঁর স্বামী মহাদেব চন্দ্র মুন্সী। তদন্তে জানা যায়, তাঁদের ২ মেয়ে বহুদিন ধরেই অবৈধভাবে ভারতে রয়েছেন এবং ভারতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।


অন্যদিকে, ইমিগ্রেশনের সময় ধরা পড়েন ঝর্না ভট্টাচার্য ওরফে ঝর্নারানি দেবী। তাঁর কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্টের পাশাপাশি ছিল ভারতের পাসপোর্ট, ভোটার ও আধার কার্ড এবং প্যান। ইমিগ্রেশনে ধরা পড়েন বাংলাদেশের নাগরিক সমীর মণ্ডল। জানা যায়, এখানে এসে তিনি ও তাঁর পরিবার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, LPG গ্যাসের কানেকশন এবং বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে ফেলেছেন। অগাস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত, এরকম ৩৮ জনের নাম বাতিলের জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে বলেছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস।


প্রসঙ্গত, কখনও বারাসাতে মুহুরি পরিচয় দিয়ে জাল বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি,  কখনও আবার বনগাঁয় ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের কারবার! ফেলো কড়ি, পাও জাল বার্থ সার্টিফিকেট। উত্তর ২৪ পরগনায় এর আগেও জাল জন্ম শংসাপত্র নিয়ে সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। আর এবার, বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে ধৃত এক ব্য়াক্তির কাছ থেকে সন্দেহজনক নথি পেয়ে কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় এল কেরলের। 


ধৃতের কাছ থেকে যে নথি উদ্ধার হয়েছে, তা যাচাই করতেই উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছিতে পৌঁছয় কেরলের পুলিশ। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে সম্প্রতি কেরালায় গ্রেফতার করা হয় মানিক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে। কেরলের ত্রিশূর জেলার অন্থিকাড় থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃতের কাছ কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি। যার মধ্যে ছিল বার্থ সার্টিফিকেটও। সেখানে দেখা যায়, তাঁর পরিচয়পত্রগুলি ইস্য়ু করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। 


বার্থ সার্টিফিকেটে নাম রয়েছে বামনগাছির মণ্ডলগাঁতির। এই বার্থ সার্টিফিকেটে আবার সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের সিল-ও রয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ডেট রয়েছে ২০২১ সালের ১৮ই নভেম্বর। নথি দেখে সন্দেহ হওয়ায়, কেরালার ত্রিশূর থেকে ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ পেরিয়ে বামনগাছিতে পৌঁছয় কেরল পুলিশ। সোমবার ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে যায় তারা। অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির নথি দেখিয়ে তা নিয়ে পঞ্চায়েতের কাছে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এরপরেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।