কলকাতা: রাজ্যের মোট দু’হাজারেরও বেশি বুথে কোনও ‘মৃত’ ভোটার নেই। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজ মেলেনি।তার ফলে পূরণ করা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। এই অবাক করা তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট চায় তারা। এরপরই মঙ্গলবারই দেখা যায় সংখ্যাটা একলাফে কমে ২ হাজার ২০৮ থেকে ৪৮০ হয়ে গেছে।  

Continues below advertisement

বুধবার আরও কমে সংখ্যাটা হল ২৯।এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। আর এরপর কমিশনের কড়া ডোজে  ৪দিনেই মৃত্যুহীন বুথ নামল ৭টিতে। প্রথমে ২ হাজার ২০৮, সেখানে থেকে ৪৮০, তারপরে ২৯। কমিশনের রিপোর্ট চাইতেই মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ৭টিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাত্র ১টি বুথ মৃত্যুহীন! পূরণের পরে সব ফর্ম ফেরত। প্রথম দফায় কমিশনের কাছে আসে ২২০৮টি বুথের তালিকা। সেই তালিকায় শীর্ষে ছিল দঃ ২৪ পরগনা, মৃত্যুহীন বুথ ছিল ৭৬০টি। পূরণের পর সব ফর্ম ফিরে আসার তালিকায় মালদার মাত্র ২টি বুথ। হাওড়া, পঃ মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় ১টি করে বুথ শুধু মৃত্যুহীন। 

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সব এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজড করার পর বিএলওদের একটি মুচলেখা দিতে হবে। যেখানে সবদলের বিএলএদের সই থাকতে হবে। সঙ্গে সিইও দপ্তর থেকে সব বিএলওদের কাছে একটি মুখবন্ধ খাম পাঠানো হয়েছে। যেখানে বিএলওদের কাজের প্রশংসা করে তাঁদের ‘কুর্নিশ’ জানিয়েছে কমিশন। 

Continues below advertisement

এর আগে নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপের পর, পূরণ করা সব এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে, এমন পোলিং স্টেশনের সংখ্যা আরও কমে যায়। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, এত ফারাক হল কী করে? কী করে সংখ্যাটা হু হু করে কমছে? তাহলে আগে এত বেশি দেখানো হয়েছিল কেন?

এদিকে,  ডুপ্লিকেট ভোটার ধরতে কমিশনের নতুন অস্ত্র 'ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এন্ট্রি'। প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডুপ্লিকেট ভোটার চিহ্নিত করে বাদ দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার ভোটারের নাম বাদ হিসেবে চিহ্নিত। মৃত ভোটার হিসেবে ২৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫জনের নাম 'বাদ'। স্থানান্তরিত হিসেবে ১৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০২জনের নাম চিহ্নিত। ডুপ্লিকেট ভোটার হিসেবে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩০৩জনের নাম চিহ্নিত।