অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: হাতির (elephant)তাণ্ডব (danger) থেকে কিছুতেই নিস্তার পাচ্ছে না ঝাড়গ্রাম জেলা (jhargram district)। তাণ্ডব অব্যাহত জায়গায় জায়গায়। 
বৃহস্পতিবার রাতেও ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় পিপড়ি এলাকায় তাণ্ডব চালায় হাতির দল। খাবারের সন্ধানে ঢুকে ১৩টি হাতির দল বড়পিপড়ি গ্রামের বাসিন্দা গুনা মাহাতোর বাড়ি ভেঙে দেয়। স্থানীয়রা হাতিগুলিকে তাড়া করলে সেগুলি পুকুরিয়া বিটের পাঁচামি গ্রামের দিকে চলে যায়। কিন্তু সেখানেও তাণ্ডব। অভিযোগ, পাঁচামি গ্রামের রাজু মুর্মুর বাড়ি ভেঙে  দেয় তারা। সেখান থেকে স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে পুকুরিয়া বিটের মাসাংডিহির জঙ্গলের দিকে চলে যায় হাতির দল। কিন্তু আতঙ্ক কমেনি। ওই এলাকার বাসিন্দাদের কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। 


হাতির দাপট ঝাড়গ্রামে


এতেই শেষ নয়। ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁদরভোলা এলাকাতেও চল্লিশটি হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে খবর। যে কোনও সময়ে খাবারের সন্ধানে তারা জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকার বাসিন্দাদের। নয়াগ্রাম, বিনপুর, জামবনি, লালগড় থানা এলাকাতেও হাতির দল  বেপরোয়া ভাবে তাণ্ডব শুরু করেছে বলে খবর। সব মিলিয়ে বেশ আতঙ্কের ছবি। সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে। তা সত্ত্বেও ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে প্রায় শতাধিক হাতির দল তাণ্ডব 
চালিয়ে যাচ্ছে। 


বেঘোরে মৃত্য়ু আগেও


গত মাসেও হাতির হামলায় ঝাড়গ্রামে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলা। হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে পাকিয়ে তুলে ধরে আছাড় মারে বলে জানা যায়। এটিও পুকুরিয়া বিটেরি অন্তর্গত সাপধরা গ্রামের ঘটনা। শনিবার সকালে সেখানে এমএসকে স্কুলের সামনে হাতির মুখে পড়ে যান মিনি খিলাড়ি নামের ওই মহিলা। তখনই মর্মান্তিক পরিণতি। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে কোও রকমে তাঁকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় বন দফতরের ভূমিকা।