শান্তনু নস্কর, বাসন্তী: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর হোগল নদীতে ফের শুরু হল ভাঙন। রবিবার সকালে কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে নদী বাঁধে ব্যাপক ধস নামে। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। দ্রুত নদী বাঁধ মেরামতির আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।


নদীতে ফের শুরু হল ভাঙন: বর্ষা আসতে এখনও অনেক দেরি। এখন থেকেই পাড় ভাঙছে হোগল নদীর। তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত গাছ, নদীর গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে জমি। বড় বড় ফাটলের মুখে ভাঙনের প্রহর গুনছে বাকি পাড়। আর কয়েকদিন পরেই হয়তো গিলে খাবে বাড়িঘর, তাই যেটুকু বাঁচানো যায় তা নিয়েই অন্য জাযগায় চলে যাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর দুর্গা মণ্ডপ এলাকার বাসিন্দারা। বাসন্তীর বাসিন্দা তারা মণ্ডল বলেন, “ভাটা এলে আরও হবে। ভেঙে যাবে। আমরা কী করব?’’ আরেক বাসিন্দা বর্ণালী দাসের কথায়, “আতঙ্কেই আছি। ঘর-বাড়ি চলে যেতে পারে। বড়সড় ফাটল রয়েছে।’’                              

রবিবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন হোগল নদীর এক পাড় ফের ভাঙতে শুরু করেছে। স্থানীয় দুর্গা মণ্ডপ এলাকায় কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে নেমেছে ধস। রবিবার সকালেই ভাঙনের এলাকা পরিদর্শন করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, “এটা আকস্মিক হয়েছে। অবিলম্বে যাতে মেরামতির কাজ হয় জেলা প্রশাসন এবং সেচ দফতরের রাজ্য ও জেলা স্তরের ইঞ্জিনিয়ার, ডিএম সাহেব সবাইকে বলেছি।’’ এবিষয়ে বাসন্তীর বিডিও সৌগতকুমার সাহা জানিয়েছেন, ভাঙনের খবর পেয়েছেন। সেচ দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাড়াতাড়ি নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে।                                                  


গত বছর রীতিমতো ভয় ধরিয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের গঙ্গায় ভাঙন (Ganga Erosion)। গঙ্গা তীরবর্তী ওই এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। তলিয়ে যায় আস্ত দোতলা বাড়ি, বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি। গঙ্গাগর্ভে চলে যায় গ্রামের শ্মশান কালীর মন্দির। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। ভাঙনের কবলে গোপালপুর-বালুটোলা গ্রামের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা। 


আরও পড়ুন: Weather Update: তাপপ্রবাহের আশঙ্কা একাধিক জেলায়, চৈত্রের শেষে প্রবল গরম নাজেহাল রাজ্যবাসী