আবির দত্ত, কলকাতা : সামনেই লোকসভা ভোট। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসন বাড়াতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু, সংগঠন কি সেই জায়গায় আছে ? বাঁকুড়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন নিয়ে দলের মধ্যে উঠছে প্রশ্ন। "অমিত শাহ যে ৩৫টি আসনের স্বপ্ন দেখছেন, সেটা সফল করতে হলে সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে", পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader) রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (Raju Banerjee)।
দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে এখন তাঁকে দেখা যায় না কেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "থাকি, হয়তো মিডিয়ায় ফোকাস হয় না। নতুন নেতৃত্ব আছে। তাঁরাই এখন সামনের সারিতে থাকেন। আমরা আছি। আমার মনে হয়, যেদিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে তাতে কর্মীদের ভেতর ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। কোনও সময় বাঁকুড়ায়, কোনও সময় রানাঘাট, তো কোনও সময় শিলিগুড়িতে, কোচবিহারে হচ্ছে। এটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব...কারণ লোকসভা নির্বাচন এসেছে। কারণ, অমিত শাহ যে ৩৫টি আসনের স্বপ্ন দেখছেন, সেটা সফল করতে হলে সকলকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এরকম যদি চলে, নিজেদের মধ্যে যদি অশান্তি হয়...। দলের ভেতরে কিছু হতেই পারে। কিন্তু, এটা বাইরে চলে আসছে। যেটা দলের পক্ষে খুব ক্ষতি করে। আমি আশা করব, যাঁরা কেন্দ্র এবং রাজ্যে দলের দায়িত্বে আছেন, তাঁরা খুব শীঘ্র এগুলো মেটাবেন। নাহলে দলকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে । রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা হচ্ছে- ভোট। দিলীপ ঘোষকে সফল বলছে কেন ? ২০১৮-র পঞ্চায়েত দেখুন, ২০১৯-এর লোকসভা দেখুন বা বিধানসভা নির্বাচন, তার পরে সদস্য সংখ্যা বাড়া দেখুন। প্লাস, মিটিং, মিছিল, আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের মনে একটা জায়গা করা। রেজাল্ট বলে, দল ঠিক চলছে না ভুল চলছে।"
সেই সময় যেমন চলেছে এবং এখন যেমন চলছে...কিছু তফাত বোঝা যাচ্ছে ?
এই প্রশ্নে রাজুর বক্তব্য, "আমি তুলনায় যাব না। কারণ, এক একটা সময়কাল। অমিতাভ বচ্চন দুর্দান্ত অভিনেতা ছিলেন। আবার পেছনে ফিরে যান, দিলীপ কুমার। সময়, জ্ঞান...এগুলো বিচার বিবেচনা করে চলতে হয়। দিলীপ কুমারের সময় সুপারহিট, অমিতাভ বচ্চনের সময় সুপারহিট, শাহরুখ খানের সুপারহিট...তার জন্য সেরা। যদি রেজাল্ট ঠিক দেন, তাহলে আপনিও সঠিক পথে রয়েছেন। সংগঠন ঠিকঠাক করতে হবে। শুধু হাওয়ায় ভোটে জিতবেন, এটা এক-দুবার হয়। যাঁরা এখন বিষয়গুলি দেখছেন, তাঁদের ভাবা উচিত আমরা কীভাব ৩৫টি আসন পাই। কারণ, অমিত শাহ বলে গেছেন, এবার আমাদের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় ৩৫টি আসন দরকার। তিনি নিশ্চয়ই বুঝে বলেছেন। সেই জায়গায় সংগঠনটা তুলতে হবে।"
অতীতেও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, দলে পদে থাকলেও তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। দলীয় কোনও কাজকর্মের সঙ্গে যুক্তও করা হয় না, এমনকী খবরও দেওয়া হয় না।