কলকাতা: ছাত্রের মৃত্যুর পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দখলদারির রাজনীতি! র‍্যাগিং বন্ধের দাবিতে আন্দোলন ঘিরেও বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়! অরবিন্দ ভবনের সামনে টিএমসিপি-র সঙ্গে ডিএসও-এসএফআইয়ের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি বাধে। অসুস্থ হয়ে পড়েন এক পড়ুয়া। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 


র‍্যাগিং বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করতে এসেছিলেন। আর তা থেকেই তৈরি হল চরম পরিস্থিতি। দুই দলের বচসা ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। জানা গিয়েছে, বুধবার ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে ডেপুটেশন জমা দিতে এসেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। কিন্তু  'বহিরাগত' অভিযোগে টিএমসিপির সদস্যদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাঁধা দেন এআইডিএসও-র সদস্যরা। এর পর এআইডিএসও-টিএমসিপি সামনাসামনি হতেই তুলকালাম বাধে। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। অরবিন্দ ভবনের সামনে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে ডেপুটেশন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এআইডিএসও-র বিরুদ্ধে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কোনও আধিকারিকেরই দেখা মেলেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে চত্বর ঘিরে এত কিছু, সেখানে কেন কোনও পুলিশ মোতায়েন নেই। 


ছাত্রের মৃত্যুর পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দখলদারির রাজনীতি! র‍্যাগিং বন্ধের দাবিতে আন্দোলন ঘিরেও বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়! অরবিন্দ ভবনের সামনে টিএমসিপি-র সঙ্গে ডিএসও-এসএফআইয়ের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি বাধে। 


এর আগেও একটি জিবি মিটিং-কে কেন্দ্র করেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে এ দিনও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জিবি মিটিং-ই চলছিল। সেই সময়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে যায়। আর তখনই তাঁদের বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, 'ছাত্র মৃত্যুর পরেও হস্টেলে ৪ বার জিবির বৈঠক হয়েছিল বলে ভাইরাল একটি চ্যাট থেকে জানা গিয়েছে। হস্টেলে জেনারেল বডির বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তনীরা। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কী প্রশ্ন হতে পারে? বলে দেওয়া হয় ছাত্রদের। কী প্রশ্ন হতে পারে, কী উত্তর দিতে হবে, বলে দেওয়া হয় আবাসিকদের'। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুতে পুলিশের হাতে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। ধৃত সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরকে জেরা করেই বাকি ৬জনের হদিশ মেলে। পুলিশের নজরে রয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তনী, জিবি পরিচালনা করা ছাত্ররা। এখন প্রশ্ন, কী বলতে হবে শিখিয়ে কী ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল?