ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, সুনীত হালদার, কলকাতা : আন্তঃরাজ্য জাল নোট চক্রের পর্দাফাঁস। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে ধৃত ১, উদ্ধার ৯২ হাজার টাকার জাল নোট। ধৃতের নাম শেখ মুন্না। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সুতিতে। হাওড়া স্টেশন থেকে শেখ মুন্নাকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। এর আগে জাল নোট কাণ্ডে মালদার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। কতদূর ছড়িয়ে এই জাল নোটের চক্র? সেটাই তদন্ত করে খতিয়ে দেখছেন বেঙ্গল এসটিএফ- এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। এসটিএফ- এর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে তথ্য ছিল হাওরা স্টেশনে থাকবে মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা শেখ মুন্না নামের এই ব্যক্তি। তার কাছে জাল নোট থাকার তথ্যও ছিল এসটিএফ- এর কাছে। এরপর একদম হাতেনাতে শেখ মুন্নাকে পাকড়াও করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। তার কাছে ৯২ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। এই নোটগুলি উদ্ধারের পর তা পরীক্ষা করেও দেখা গিয়েছে যে এগুলি জাল নোট। এসটিএফ সূত্রে খবর, এইসব জাল নোট বাইরের কোনও রাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা ছিল শেখ মুন্নার। এই বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ভিনরাজ্যে পাচারের ছক ছিল বলেই অনুমান গোয়েন্দাদের। হাওড়া জিআরপি- তে ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, আন্তঃরাজ্য একটি জাল নোটের চক্র রয়েছে। এই ভুয়ো কারবারের জাল কতদূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃত শেখ মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে যে এই চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত শেখ মুন্নার বয়স ৩০ বছর। আজ তাকে হাওড়া আদালতে পেশ করেছে হাওড়া জিআরপি থানার পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গতকাল তাকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া স্টেশন থেকে। এসটিএফ সূত্রে খবর, গতকাল শেখ মুন্না মুন্না মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে হাওড়া স্টেশনে এসেছিল। ট্রেন ঢুকেছিল ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেঙ্গল এসটিএফ হাতেনাতে তাকে পাকড়াও করেছে। শেখ মুন্নার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে একটি পলিথিনের প্যাকেটে দুটো পাঁচশ টাকার নোটের বান্ডিল পাওয়া যায়। এগুলিতে ছিল জাল নোট। মোট ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৭৯/১৮০ ধারায় মামলা শুরু হয়েছে। আন্তঃরাজ্য জাল টাকা চক্রের সাথে এই শেখ মুন্না যুক্ত বলে অনুমান এসটিএফ এর। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। এই জাল টাকা কোথায় ছাপা হয়েছে এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।