কলকাতা : সরকারি উদ্যোগে দেওয়া চাকরির নিয়োগপত্রও ভুয়ো (Fake Recruitment Letter)? এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) মধ্যেই বিস্ফোরক অভিযাগ। ‘গুজরাতের সংস্থার নামে দেওয়া নিয়োগপত্র ভুয়ো, সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ জানা যায় নিয়োগপত্র ভুয়ো’, অভিযোগ একাধিক কারিগরি শিক্ষার চাকরিপ্রার্থীর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা। পুরোটাই ভুয়ো, এদের সরানো ছাড়া উপায় নেই, আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিভাগীয় তদন্তের দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।


কবে নিয়োগপত্র


স্কুলের চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যেই এবার কারিগরি শিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের সঙ্গে প্রতারণার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল।সরকারি উদ্যোগে দেওয়া চাকরির কিছু নিয়োগপত্র কি ভুয়ো? চাকরিপ্রার্থীদের কয়েকজনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পর উঠছে এই প্রশ্ন।


১২ সেপ্টেম্বর, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে, উৎকর্ষ বাংলার অনুষ্ঠানের পর এই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু, হুগলির আবেদনকারীদের একাংশের দাবি, নিয়োগপত্রে গুজরাতের যে সংস্থার নাম লেখা ছিল, সেখানে যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন, এই চিঠি ভুয়ো।


কী জানাচ্ছে অভিযুক্ত সংস্থা


আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গুজরাতের ওই সংস্থার সেন্টার ম্যানেজার বেদপ্রকাশ সিং জানিয়েছেন, তাঁরা গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে এ ধরনের প্রশিক্ষণের কাজে যুক্ত। কিন্ত, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সঙ্গে এ নিয়ে তাঁদের কোনও যোগাযোগই হয়নি। তাঁরাও এ রাজ্যের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি। চিঠিতে তাঁর ফোন নম্বর-সহ সংস্থার সব তথ্য বেআইনি ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বেদপ্রকাশ। 


তীব্র রাজনৈতিক তরজা


চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। ১২ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানের দিন, কতজন নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'পুরোটাই ভুয়ো। যেভাবে হেনস্থা করেছে, এদের সরানো ছাড়া পরিত্রাণের উপায় নেই।' পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের সচেতন ভাবে কাজ করা উচিত ছিল। আমরা চাই বিভাগীয় তদন্ত হোক। যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অনেক পুরনো বাম কর্মীরাও আছেন তারা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে এটা করা হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিচ্ছেন।'


যাঁদের নিয়োগপত্র নিয়ে এই অভিযোগ উঠছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন- হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই আহত এসিপিকে দেখতে গেলেন সিপি বিনীত গোয়েল