কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে আজাদ মল্লিককে। ED, NIA-র পর এবার IB-র স্ক্যানারে ধৃত পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক। ED সূত্রে খবর, পাক নাগরিক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
IB-র স্ক্যানারে ধৃত পাক নাগরিক: ED, NIA-র পর এবার ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর স্ক্যানারে পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক। ED সূত্রে খবর, পাক নাগরিক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ED সূত্রে দাবি, এ রাজ্যে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি নৈহাটি, আরেকটি মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়। মিলেছে এখানকার ড্রাইভিং লাইসেন্সও। ED সূত্রে খবর, আজাদের পাকিস্তানের ড্রাইভিং লাইসেন্সটি করাচির ঠিকানায় ১৯৯৭ সালের। নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যেই আজাদ মালিক এ রাজ্যে থাকছিল বলে ED-র তদন্তকারীদের অনুমান। অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার পিছনে অন্য উদ্দেশ্য নেই তো? তাহলে কী স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? ED, NIA-র পাশাপাশি খতিয়ে দেখছে IB.
পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে ১৫ এপ্রিল কলকাতা থেকে জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে আজাদ মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, তদন্তে জানা গেছে, আজাদ মল্লিক বাংলাদেশি নয়, আসলে পাকিস্তানি নাগরিক। পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল। এদেশে ঢুকে ২টি ভোটার কার্ড, ৪টি বার্থ সার্টিফিকেট ও একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল সে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে। একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক। ইডি জানায়, আজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। এই টাকা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওইদিন আদালতে ইডির আইনজীবী আরও বলেন, এটা শুধু পাসপোর্ট জালিয়াতি নয়। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। এটা দেশের সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে ইডি নতুন একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই মামলায় আবার আজাদ মল্লিককে হেফাজতে নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।