রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ছাগল(goat) কেন প্রতিবেশির (neighbour) বাড়িতে গিয়েছে?এই প্রশ্নেই তুমুল বিবাদ ও সেখান থেকে ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদের (mursidabad) জলঙ্গির চোয়াপাড়ার ঘটনা। অভিযোগ,প্রতিবেশির ধারাল অস্ত্রের কোপে খুন (murder) হয়েছেন বিবেকানন্দ হালদার। আশঙ্কাজনক অবস্থা (critical condition)বিবেকানন্দের বাবা জীবানন্দ হালদারের।
কী ঘটনা?
আশপাশের বাসিন্দাদের দাবি, গত কাল সন্ধেয় হঠাতই চোয়াপাড়ার বাসিন্দা বিবেকানন্দ হালদারের বাড়ির ছাগলটি কোনও কারণে পড়শির বাড়ি চলে যায়। কেন সেটি এভাবে ঢুকে পড়েছে এই নিয়েই পড়শির সঙ্গে বিবাদ বাঁধে হালদার পরিবারের। তর্কাতর্কি, চিৎকার থেকে হাতাহাতি। তবে সেখানেই থামেনি বিষয়টি। অভিযোগ, অশান্তির মাঝে হঠাৎ বিবেকানন্দের উপর ধারাল অস্ত্রের কোপ বসান ওই পড়শি। একই অস্ত্রের আঘাতে জখম হন তাঁর বাবা জীবানন্দও। গুরুতর জখম অবস্থায় জীবানন্দকে প্রথমে সাদিখারদিয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
প্রায় এক অভিযোগ আগেও...
গত মার্চে মুর্শিদাবাদেই কার্যত একই রকম একটি ঘটনার কথা শোনা যায়। সে বারের ঘটনাস্থল ছিল কান্দি। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কান্দি ব্লকের হিজলের আহিরনগরে ঘটনাটি ঘটে। সামান্য কারণে বিবাদে থেকে শুকুর শেখ নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল পড়শি কাইমুদ্দিন শেখ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় প্রায় কাছাকাছি বাড়ি এই দুই পরিবারের। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন কারণে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। মাঝেমধ্যেই তা মাথাচাড়া দেয়। প্রায়শই নানা ঝামেলা হয়েছে। পড়শিদের কারও কারও দাবি, জমি সংক্রান্ত বিবাদও ছিল। তারমধ্যেই ফের ঝামেলা শুরু হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শুকুর শেখ। বাড়ির কাছেই পরিবারের নিজস্ব জমি থেকে কলাই তুলতে গিয়েছিলেন শুকুর। অভিযোগ,তখনই ওই জমিতে যায় প্রতিবেশী কাইমুদ্দিন শেখ ও তাঁর সঙ্গীরা। কোনও কারণে ফের বচসা শুরু হয় দুই জনের মধ্য়ে। হাতাহাতিও শুরু হয় বলে দাবি শুকুরের পরিবারের। তারপরেই কাইমুদ্দিন ও তাঁর সঙ্গীরা ধারাল অস্ত্র (sharp weapon) নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। ঝামেলার আওয়াজ শুনে মাঠের দিকে দৌড়ে গিয়েছিলেন শুকুরের পরিবারের লোকজন। তখনই মাঠে শুকুরের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। জমিতে রক্তের দাগ ছিল বলেও অভিযোগ। কাইমুদ্দিনদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে শুকুরের,অভিযোগ পরিবারের। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। কান্দি থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। তবে ঘটনার পর পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন:'আমাকে শেষ করে ফাঁসিয়ে দিল' জেলে এখন মাথা চাপড়াচ্ছেন অর্পিতা ?