সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ' জেলে অতিরিক্ত সুবিধা নিতে চান না পার্থ চট্টোপাধ্যায় '। দাবি প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের। psns কাটিয়ে ফেললেন তিন রাত। কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ? কেমনই বা আছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ ?
কেমন আছেন অর্পিতা
সূত্রের খবর, পা ও কোমরে ব্যথা রয়েছে। কিন্তু জেল হাসপাতালে যেতে চাননি প্রাক্তন মন্ত্রী। গতকাল বিকেলে নিরাপত্তারক্ষীর সামনেই সেলের বাইরে পায়চারি করেন। আজ জেলে গিয়ে পার্থর সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর আইনজীবীর। অন্যদিকে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আগের তুলনায় স্বাভাবিক। জেলে তাঁর নিয়মিত মেডিক্যাল টেস্ট হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই খাওয়াদাওয়া করছেন অর্পিতা।
অতিরিক্ত সুবিধা নিতে চান না পার্থ?
জেলে অতিরিক্ত সুবিধা নিতে চান না পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনই দাবি প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর, তাঁর পা ও কোমরে ব্যথা রয়েছে। কিন্তু জেল হাসপাতালে যেতে চাননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পড়তে চেয়েছেন শ্রীরামকৃষ্ণ সম্পর্কিত এবং মহাশ্বেতা দেবীর লেখা বই। দেখতে চেয়েছেন মামলার নথি।
বীভৎসভাবে ফেঁসে গেলাম : অর্পিতা
অন্যদিকে আলিপুরে মহিলাদের জন্য বিশেষ জেলে রয়েছেন অর্পিতা। জেরার মুখে অর্পিতা নাকি বলেছেন, ‘‘বীভৎসভাবে ফেঁসে গেলাম। আমাকে শেষ করে ফাঁসিয়ে দিল।’’ সূত্রের খবর, সেলের মধ্যে মাঝেমধ্যেই কান্নাকাটি করছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডি বারবার তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করায়, সেলের বাইরে সবসময় দু’জন নিরাপত্তারক্ষী থাকছেন। নজর রাখা হচ্ছে CCTV ক্যামেরার মাধ্যমেও।
টালিগঞ্জে বিলাসবহুল আবাসনের পাশাপাশি, বিটি রোডে অভিজাত আবাসনে ২টো ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার বুকে ৩টি পার্লার। কিন্তু কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়? রহস্যে মোড়া তাঁর উত্থান। অদ্ভূত বিষয় হল, যাঁর ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাঁরই না কি এই দুটো ফ্ল্যাটের মেনটেন্যান্স বকেয়া রয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২০ সালে, টবিন রোডে, প্রথম নখ সৌন্দর্যায়নের দোকান খোলেন। পরবর্তীতে, দক্ষিণ কলকাতায় খোলেন আরও দুটো ব্রাঞ্চ। কোন পথে এত বৈভব? নক্ষত্র-খচিত জীবনযাত্রার নেপথ্যে কী রহস্য? উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।