অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: দলগাঁও চা বাগানে ফের খাচাবন্দি হল চিতাবাঘ। এই নিয়ে গত ৩০ দিনে আলিপুরদুয়ারে ৫টি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হল। বৃহস্পতিবার যেটিকে বন্দি করা হয়েছে, বন দফতর সূত্রে খবর সেটি একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ।


কী ঘটল?
আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের অন্তর্গত দলগাঁও চা বাগানের কার্জীপাড়ার ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে খাচাবন্দি চিতাবাঘ দেখে ভিড় জমে যায় গ্রামবাসীদের। জানা যায়, চিতাবাঘের উপস্থিতি নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবী অনুযায়ীই, জলদাপাড়া বন দফতরের মাদারিহাট রেঞ্জ কর্মীদের পাতা খাঁচায় বন্দি করা হয় চিতাবাঘটি। ঘটনাস্থলে পৌছে মাদারিহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা প্রাণাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জলদাপাড়ার দক্ষিণ খয়েরবাড়ি বাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য  নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিতাবাঘটিকে। গত ২৪ জানুয়ারি এই দলগাঁও চা বাগানের গাড়ি লাইনে চিতাবাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধার। তারপরেই সেখানে বন দফতরের উদ্যোগে খাঁচা পাতা হয়। একই বাগান থেকেই খাঁচাবন্দি হল ৩টি চিতাবাঘ। জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি একই বাগানের ৪-২ সেকশনে ২-টি এবং আজ একই বাগানের কার্জী পাড়ায় অপর একটি-সহ ৩ টি চিতা খাচাবন্দি হল। অন্য দিকে, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিরপাড়া চা বাগানের ২২ নম্বর  সেকশনে একটি এবং ৯  ফেব্রুয়ারি কালচিনির দলসিংপাড়া চা বাগানেও চিতাবাঘ খাচাবন্দি হয়। চা বাগানের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা চিতাবাঘ নিয়ে প্রতি বছরই এই শীতের মরসুমে আতঙ্ক তৈরি হয়।এ বছরও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। যদিও বন দফতর তৎপর হয়ে উদ্যোগ নিয়েছে এবার। তার পরও চা বাগানে চিতাবাঘের আশ্রয় নিয়ে আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।

দক্ষিণে বাঘের আনাগোনা...
উত্তরের এই রাজ্যে চা বাগানে চিতাবাঘের আনাগোনা যদি চিন্তার কারণ হয়, তা হলে দক্ষিণে ভয় ধরাচ্ছে বাঘের আতঙ্ক। টানা তিনমাস ধরে বাঘের ভয়ে ভুগছেন পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামের মধ্যে বন্য পশুর রক্তের দাগ মেলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায়। গ্রামবাসীদের দাবি, বন দফতর গ্রাম লাগোয়া ধনচির জঙ্গল জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরেও বাঘের আনাগোনা টের পাওয়া যাচ্ছে। রয়্যাল বেঙ্গলের আতঙ্ক দূর করতে গণস্বাক্ষর অভিযানও চালান গ্রামবাসীরা। শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তবে বাঘ জনবসতি এলাকায় ঢুকছে না, গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়ে দেয় বন দফতর। 


আরও পড়ুন:‘কোনও সমবেদনা নেই আমার’, শাহজাহানের আইনজীবীকে বললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি