সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ৩দিনের মাথায় দত্তপুকুরের মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত হল। জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তি গাইঘাটার আঙুলকাটার বাসিন্দা। তাঁর নাম হজরত লস্কর। ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরোনোর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। হাতের ট্যাটু, পোশাক দেখে দেহ শনাক্ত করেছে পরিবার। নিহত যুবকের দেহ শনাক্ত করা গেলেও খোঁজ মেলেনি কাটা মাথার। কোথায় এই ব্যক্তির কাটা মুণ্ডু? খোঁজ করছে পুলিশ। কেন খুন করা হয়েছে হজরতকে? তাই নিয়েও এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। জোরকদমে তদন্ত করছে পুলিশ।
আজ বারসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে এসে মৃতের পরিবারের লোক দেহ শনাক্ত করেছে। দেহাংশে থাকা পোশাক এবং হাতের ট্যাটু দেখে মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান যে, নিহত ব্যক্তি তাঁদেরই পরিবারের সদস্য হজরত লস্কর। গত ২ তারিখ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। সেদিন সন্ধেবেলা শেষবারের মতো ফোন করেছিলেন। এরপর আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। পরিবারের সদস্যরা ২-৩ দিন খোঁজ করার পর, আজ সকালে গাইঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর গাইঘাটা থানার তরফে যোগাযোগ করা হয় দত্তপুকুর থানার সঙ্গে। পরিবারের সদস্যদের পাঠানো হয় দত্তপুকুর থানায়। সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। তারপর বারসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শনাক্ত করেন দেহ।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। হজরত লস্করের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর কমিশনারেট, হাওড়া কমিশনারেটের আওতায় একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। বালি, নিশ্চিন্দা, বরানগর, উত্তরপাড়া এইসব এলাকায় চুরি, ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে নিহতের নামে। অপরাধমূলক ঘটনার প্রভাব, রেষারেষির জের, নাকি পারিবারিক বিবাদ- কী কারণে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হজরত লস্করকে তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। মৃতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল তাঁদের ডাকা হয়েছে বারাসাত হাসপাতালের মর্গে। এরপর পুলিশ সিদ্ধান্ত নেবে পরিবারের হাতে নিহতের দেহাংশ হস্তান্তর করা হবে কিনা।
দত্তপুকুরে উদ্ধার হওয়া মুণ্ডহীন দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গভীর রাতে ভারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে সামনে থেকে গলা কেটে খুন করা হয় ওই যুবককে, এমনটাই খবর সূত্রের। খুনের আগে হাত-পা বাঁধা হয়েছিল, খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন- পরিচালক-টেকনিসিয়ান সংঘাতে টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ায় অচলাবস্থা অব্যাহত, এরপরে কী পদক্ষেপ?