ভাস্কর মুখোপাধ্য়ায় ও নান্টু পাল, মুর্শিদাবাদ:  আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুষ্কৃতীর সূত্র ধরে, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) খোঁজ মিলল আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার (Fire Arms Factory)। তল্লাশিতে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রচুর সরঞ্জামের হদিশ পেয়েছে পুলিশ (Police)। ভোটের (Election) আগে এই ঘটনায় তুঙ্গে চাপানউতোর। 


এবার শুধু বোমা-অস্ত্র উদ্ধারই নয়। বীরভূমে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সূত্র ধরে, মুর্শিদাবাদে খোঁজ মিলল আস্ত আগ্নেয়াস্ত্র কারখানার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, রাজ্য়ে ফের অস্ত্রের আস্ফালন। বৃহস্পতিবার রাত গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বীরভূমের মাড়গ্রামের কালী দহ গ্রামে নাকা তল্লাশি চালায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ মুর্শেদ শেখ নাম এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে তারা। ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।


পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত জানায়, তাঁর বাড়ি মুর্শিনাদের ভরতপুরে। শনিবার ওই দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ভরতপুরের শুনিয়া গ্রামে ধৃতের বাড়িতে যায় মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। শুধু আগ্নেয়াস্ত্র নয়। বাড়িতেই রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির ছোটখাটো কারখানা। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পাচারের জন্য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? এই চক্রে আর কারা জড়িত? তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ। 


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্রমশ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা বেড়েই চলেছে বীরভূমে। মাত্র গত কয়েকদিন আগেই ওই জেলার  মল্লারপুরের জবুনি গ্রামে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির সন্ধান মিলেছিল। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছিল মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশিঅভিযানেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ধৃত রমজান শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ কেজি বোমা তৈরির মশলা, ৩টি দেশি পাইপগান ও ১২ রাউন্ড গুলি। পুলিশ জানায়, নিজের বাড়িতে বোমা তৈরির মশলা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করেছিল ধৃত। উদ্ধার হওয়া মশলা থেকে হাজারের বেশি দেশি বোমা তৈরি হত বলে দাবি পুলিশের। 


আরও পড়ুন, 'বাইরে থেকে লোক এনেছিলেন দিলীপ ঘোষ', রিষড়াকাণ্ডে বিস্ফোরক কল্যাণ 


বোমা উদ্ধারের  ঘটনায় ইতিমধ্যেই অসংখ্যবার নাম উঠেছে বীরভূমের।বোমা উদ্ধারের ঘটনায় হনহনিয়ে বোম স্কোয়াডের ভারী বুটের দৃশ্য সামনে এসেছে সংবাদমাধ্য়মে। সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতাদেরও। এমন কি অতীতে রাজনৈতিক নেতার বাড়িতেও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবার বিষয়টা, আর শুধুই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় থেমে নেই। খোদ শাসকদলের নেতার  গোয়াল ঘরেই এবার বোমা বিস্ফোরণ।  এবার সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় হরিদেবপুরকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'অস্ত্র আসছে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে।' অপরদিকে, 'বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ', পাল্টা তোপ দেগেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। এমন বলেছিলেন কি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। 


বিস্তারিত আসছে...