ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, হাওড়া : ফের রাজ্যে অগ্নিকাণ্ড। এবার হাওড়ায়। হাওড়ার বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে সোমবার সন্ধ্যায়। কারখানার গোডাউনে প্রচুর পরিমাণে মজুত ছিল দাহ্য বস্তু। তার থেকেই লেগেছে আগুন। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান দমকলের। ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। ঠিক কী কারণে কারখানার গোডাউনে মজুত থাকা দাহ্য বস্তুতে আগুন লেগেছিল তা খতিয়ে দেখছে দমকল বাহিনী।
বছর দশেক আগে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের এই কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রেলের ওয়াগান তৈরি হতো এই কারখানায়। সেখানেই বিধ্বংসী আগুন লাগে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে এই কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে এতদিন বন্ধ অবস্থাতেই ছিল কারখানা। সোমবার সন্ধ্যায় প্রথমে দেখা যায় কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যে নজরে আসে আগুনের লেলিহান শিখা। কারখানার একটা অংশকে পুরো গ্রাস করে নিয়েছিল বিধ্বংসী আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশের অংশ।
কারখানার ভিতরে থাকা ফাউন্ডারি সেকশন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। দমকল কর্মীদের অনুমান ভিতরে সম্ভবত রাসায়নিক ছিল। আর তা থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানার এই ভয়াবহ আগুন নিমেষে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। কারণ রেলের ওয়াগান তৈরির এই কারখানার পাশেই রয়েছে মঙ্গলা হাট। এই হাটের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি এখনও হাওড়াবাসীর মনে ফিকে হয়নি। আর তাই সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই হাওড়ার মঙ্গলা হাটের কাছাকাছি থাকা এই কারখানায় আগুন থেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। যদি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন দমকল কর্মীরা। কোনও হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।
পার্ক সার্কাস স্টেশন সংলগ্ন কারখানায় আগুন
সোমবার বিকেলের দিকে পার্ক সার্কাস স্টেশন সংলগ্ন তিলজলা এলাকার একটি কারখানার ভয়াবহ আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছে। কারখানার ভিতরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে কারখানাগুলি। লেলিহান আগুনের শিখার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনও। জানা গিয়েছে, যে কারখানায় মূলত আগুন লেগেছিল তার একদিকে তৈরি হতো রবারের চটি। অন্যদিকে ছিল কনফেকশনারি সেকশন। কী কারণে পার্ক সার্কাস স্টেশন সংলগ্ন এই এলাকায় আগুন লেগেছিল তা খতিয়ে দেখছে দমকল বাহিনী। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- সিভিক সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, রায় নিয়ে কী বলছেন বাদশা মৈত্র এবং দেবলীনা দত্ত?