সনৎ ঝা, শিলিগুড়ি: রঙের গুদামে (paint warehouse) অগ্নিকাণ্ড (fire), তুমুল চাঞ্চল্য শিলিগুড়ির (siliguri) মাটিগাড়া এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের (fire department) একটি ইঞ্জিন মাটিগাড়া থেকে ঘটনাস্থলে আসে। শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খোঁজ নেই।
কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম আগুন দেখতে পান। দ্রুত খবর যায় দমকলে। এক পর দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কী ভাবে আগুন লাগল, সেটা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ড। মুহূর্তের মধ্যে দেখা যায়, আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে। সঙ্গে গল গল করে কালো ধোঁয়া। আশপাশে তখন বহু মানুষের চিৎকার-চেঁচামেচি। তবে আশার কথা একটাই। এদিনের ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর নেই। কেউ জখম হয়েছেন বলেও শোনা যায়নি।
আরও কোথায়...
রঙের গুদামে আগুনের ঘটনা এ রাজ্যে নতুন নয়। এদিনের ঘটনা অনেকের মনেই ফিরিয়ে আনছে নিউ আলিপুর অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতিও। বেশি দিন নয়, গত মার্চে নিউ আলিপুরেও একটি রঙের গুদামে আগুন লাগে। লেলিহান শিখা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসতে হয়েছিল দমকলের ৫টি ইঞ্জিনকে। গুদামের দু'দিক থেকে জল দেওয়া হয়। কিন্তু গুদাম লাগোয়া ঝুপড়ি অঞ্চলে বহু ক্ষণ জল দেওয়ার সুযোগ মেলেনি। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলে। চেতলা রোডের ওই ঘটনায় দাউদাউ করে আগুন ও কালো ধোঁয়া দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ আগুনে ভেঙে পড়ে গুদামের একাংশ। একদিকে অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখা, অন্য দিকে রঙের গুদামের পাশে থাকা ঝুপড়ি। আগুন ছড়িয়ে পড়লে কী হবে, ভেবেই চিন্তা বাড়ে অনেকের। আর এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় ওই ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ষোলো আনা আশঙ্কা ছিল বলে মনে করেছিলেন অনেকে। ঝুপড়িতে অ্যাসবেস্টসের চাল সমেত ঘর ছিল বলেও খবর। সে বারের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। আশেপাশের গাছও ঝলসে যায় আগুনে। পরিস্থিতি এতটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে গিয়েছিল যে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুদাম সংলগ্ন বাড়িগুলি খালি করা হয়। শেষমেশ আগুনের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের হোস পাইপ হাতে তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নিউ আলিপুরের বিপর্যয়ের সেই ভয়ঙ্কর ছবিই কার্যত ফিরে এল শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায়।
আরও পড়ুন:অনুব্রতর গ্রেফতারিতে নেতা-কর্মীদের মুখেও ‘চড়াম চড়াম’, সংযত হতে বললেন ফিরহাদ-সৌগত