ব্রতদীপ ভট্টাচার্য কলকাতা: সাত সকালে মেট্রোয় (Metro) আগুন-আতঙ্ক। রবীন্দ্র সদন (Rabindra Sadan) মেট্রো স্টেশনের ওপর দোতলায় রিজার্ভেশন অফিসে (Reservation office) আগুন। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে মেট্রোর রিজার্ভেশন অফিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা দমকলের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও মেট্রো চলাচলের ওপর কোনও প্রভাব পড়েনি।
রিজার্ভেশন অফিসে আগুন: ফের শহরে আগুন আতঙ্ক। সাড়ে ৭ নাগাদ নজরে আসে। কোনও কর্মী তখন ছিলেন না। সপ্তাহের কাজের দিনে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে উপরে রিজার্ভেশন অফিসে লাগল আগুন। এক্সাইড মোড়ের কাছে রবীন্দ্র সদন মেট্রোর দোতলায় রয়েছে এই অফিস। প্রচণ্ড ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চত্বর। নিচেই রয়েছে মেট্রো স্টেশন। তবে রেল সূত্রে খবর, মেট্রো চলাচলে কোনও প্রভাব এখনও পর্যন্ত পড়েনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দমকল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংকীর্ণ পথ তার সঙ্গে ধোঁয়া, ফলে ভেতরে ঢুকতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। দোতলায় আগুনের উৎস নিয়ন্ত্রণে। তিনতলায় ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, "মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীরাও সুরক্ষিত রয়েছেন। আতঙ্ক করবেন না এবং ছড়াবেন না।''
রেলের আওতাধীন কলকাতা মেট্রো। আর তারই রিজার্ভেশন অফিসে লাগল আগুন। আর এই ঘটনায় ফের উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কীভাবে লাগল আগুন? নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে? অফিসে রয়েছে জং ধরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। এমন বেহাল দশা কেন? উঠছে প্রশ্ন। রিজার্ভেশন অফিসে যেসব মেশিন ছিল তা ছিল তা পুড়ে গিয়েছে। পুড়ে দলা পাকিয়ে গিয়েছে এসি মেশিন। কবে এই রিজার্ভেশন কাউন্টার খোলা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গোটা বিল্ডিং খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা।
গত ২০ জুলাই বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হওড়ার মঙ্গলাহাট। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আচমকা আগুন লাগে মঙ্গলাহাটে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় চার হাজার কাপড়ের দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবি, হাটের মালিক শান্তিরঞ্জন দে, ছোট দোকানগুলি ভেঙে বহুতল তৈরি করতে চাইছিলেন। সেই কারণে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন: Education Commission: রাজ্য়ে তৈরি হতে চলেছে শিক্ষা কমিশন, কীভাবে কাজ? নেতৃত্বে কারা?