অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: এবার আগুন লাগল বেআইনি শব্দবাজি কারখানায় (Illegal Fire Cracker Factory)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানার তালা ভেঙে কাজ শুরু করে দমকল।  পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) বেলদা থানা গোবিন্দপুর গ্রামের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দিনেদুপুরে অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন।


কী ঘটেছিল?
শনিবার দুপুরে হঠাতই ওই বেআইনি বাজি কারখানায় আগুন লাগে। স্থানীয়রা জানাচ্ছে, দোতলা পাকা বাড়িটিতেই কারখানা চলত।  বাড়ির প্রত্যেকটি ঘরই বেআইনি শব্দবাজিতে ঠাসা ছিল। সেখানে আগুন লাগায় বিকট আওয়াজ হতে থাকে। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। আপাতত কারখানার মালিক পলাতক। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। দিনের পর দিন পুলিশের চোখ এড়িয়ে কী ভাবে ওই কারখানায় শব্দবাজি তৈরি হচ্ছিল সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। এদিন পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে দাঁড়ায় যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছিল দমকলকে। পরে প্রত্যেকটি ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন কর্মীরা। সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি ঘরেই বারুদ ও শব্দ বাজি তৈরির প্লাস্টিকের বল এবং মশলা মজুদ ছিল। কিন্তু কারখানার মালিক ঋষিকেশ দাস অধিকারী পালিয়ে গিয়েছেন। আপাতত তাঁর ছেলেকে আটক করেছে বেলদা থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা খবর, এই বাজি কারখানার কোনও অনুমতি ছিল না।


মহেশতলার বাজি কারখানায় আগুন...
দিনপাঁচেক আগেই মহেশতলায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবর। কারখানার মালিক ভরত হাতির স্ত্রী লিপিকা ও পুত্র শান্তনু মারা যান। মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশী এক কিশোরীরও। নোদাখালি, পাঁশকুড়ার পরে এবার মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। দমকলকর্মীরা আপ্রাণ আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। যদিও বসতবাড়িতে কী ভাবে বাজি কারখানা চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তাদের চোখের সামনে দিয়ে কী ভাবে জনবসতি এলাকায় বাজি কারখানা চলছিল? যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখানে কারখানা ও গুদাম থাকায় তা আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রের খবর, কারখানার ভিতর পটাশিয়াম, সোডিয়াম জাতীয় রাসায়নিক রাখা রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা। দমকলকর্মীদের একাংশের দাবি, আগুন নেভানোর জন্য় জল দিতে গিয়েও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। আগুন খতিয়ে দেখতে আসেন দমকলের ডিজি অভিজিৎ পাণ্ডে। বলেন, 'এলাকাটি যে জনবসতিপূর্ণ তা তো দেখাই যাচ্ছে। এর মধ্যে এই ধরনের কিছু থাকারই কথা নয়।যে ঘটনাটি ঘটেছে তার মধ্যে অন্য কিছুও রয়েছে। সেটি দেখছি। তবে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কিছু ছিল না।'  


আরও পড়ুন:তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে ফিরতে আবেদন অনুব্রত মণ্ডলের