বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: গভীর রাতে খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে অগ্নিকাণ্ড। রাত ২টো নাগাদ লালবাহাদুর শাস্ত্রী হলের স্টোররুমে আগুন লেগে যায়। দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘণ্টাদেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দাস কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।  


ক্যাম্পাসের কমনরুমের সমস্ত কিছু আগুনে পুড়ে গিয়েছে ৷শনিবার রাতে খড়গপুর আইআইটি-র লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হলে আগুন লাগে ৷ আগুনের লেলিহান শিখায় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ ৷ তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ । এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই । তবে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ছাত্র ও গবেষকদের মধ্যে ।


সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর আইআইটিতে গভীর রাতে আগুন লাগে । আনুমানিক রাত তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ, যখন সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হলে আগুন দেখা যায় । সেই আগুন দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে । খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকল বিভাগকে । আইআইটি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে । তবে আগুন তাতে আয়ত্তে না আসায়, দমকলে খবর দেওয়া হয় ৷ শালুয়া আর খড়গপুর থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ।                                                      


আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট না হলেও প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, শর্ট-সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে । আগুনে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী কমনরুমটি একেবারে ভষ্মীভূত হয়ে যায় । মূলত এই কমনরুমটিতে নতুন ছাত্রছাত্রী এলে তাঁদের জিনিসপত্র রাখা হত । পুরনো ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রেও যাঁরা পড়াশোনা শেষ করে ফিরে যাবে, তাঁদের বেডিং এখানে রাখা থাকত । ফলে সেই জিনিসপত্র দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷ যেহেতু এখন ছুটি রয়েছে, তাই ছাত্রছাত্রীরা খুব একটা না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল খড়গপুর আইআইটি । তবে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও আইআইটির কর্মীদের মধ্যে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ ।


 


আরও পড়ুন, ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল