সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: ছুটির দিনে শহরে ফের আগুন আতঙ্ক। এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আগুন। মেডিক্যাল কলেজের মেন বিল্ডিংয়ের দোতলায় আগুন লাগে। দোতলার বাথরুম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল বিভাগের কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত লাগান তাঁরা। সন্ধেয় হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে রোগী এবং তাঁদের পরিবার-পরিজনদের মধ্যে। (Kolkata Medical College Fire)
রবিবার সন্ধেয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেন গেটের পাশেই রয়েছে মেন বিল্ডিং। মেন বিল্ডিংয়ের দোতলায় রয়েছে কার্ডিওলজি বিভাগ। কার্ডিওলজি বিভাগের শৌচালয় থেকেই ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। আগুনের শিখাও দেখতে পান কয়েক জন। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। (Kolkata News)
জানা গিয়েছে, শৌচালয়ের ভিতরে পুরনো কোনও কাপড়ে আগুন লেগে যায়। কিন্তু হঠাৎ আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকলের কর্মীরা। দমকলের দু'টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। পুলিশ ফাঁড়ি থেকেও অনেকে ছুটে আসেন। উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।
তবে দোতলার শৌচালয় থেকে আগুন ছড়াতে পারেনি। আগুন এবং ধোঁয়া দেখে হাসপাতালের কর্মীরাই আগুন নেভাতে উদ্যোগী হন। ফলে দমকল এসে পৌঁছনোর পর আগুন সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে তখনও পর্যন্ত ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। আগুন লাগার সঠিক কারণ যদিও জানা যায়নি। তবে হাসপাতালের কর্মীদের দাবি, শৌচালয়ে কিছু পুরনো কাপড় পড়েছিল। সেই কাপড়ের স্তূপেই আগুন লাগে। তবে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল বিভাগ।
ঘটনার সময় হাসপাতাল চত্বরে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, বাথরুমের জানলা দিয়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে জানিয়েছেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ফোন করে তাঁকে আগে আগুনের খবর জানান। ফিরহাদের নির্দেশেই তিনি পৌঁছন হাসপাতাল চত্বরে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সব কিছু আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্বরূপ।
হাসপাতালে উপস্থিত রোগীর পরিবার-পরিজনরা জানিয়েছেন, আগুন দেখে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সানসেডের উপর কিছু থেকে আগুন ধরতে পারে বলে আঁচ করেন তাঁরা। আগুন যদি বড় আকার ধারণ করে, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। কিন্তু যেভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তাঁরা। হাসপাতালের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী জানিয়েছেন, রোগীর পরিবারের কেউই বিড়ি সিগারেট খেয়ে ফেলে থাকতে পারেন। সেই থেকেই আগুন ধরে গিয়ে থাকতে পারে। ওই জায়গায় অনেকেই বসে থাকেন। আপাতত তেমনই ইঙ্গিত মিলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের কর্মী এবং পুলিশ ও দমকলের সহযোগিতায় তড়িঘড়ি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।