রাঁচি: বুথফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) ক্ষমতা ফিরেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। শনিবার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় ৫৬টি আসন জিতেছে তারা। আর রবিবারই ফের রাজ্যে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা জমা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার কথা জানালেন রাজ্যপালকে। তাতে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সন্তোষ গঙ্গওয়ার।


রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হেমন্ত সোরেন বলেন, "আগামী ২৮ নভেম্বর নতুন সরকার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।"


তিনি আরও বলেন, "আজকে আমরা ইন্ডিয়া জোটের নতুন সরকার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছি আমরা। সেই সঙ্গে আমার পদত্যাগপত্রও তাঁর কাছে জমা দিয়েছি। কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের এই রাজ্যের ইনচার্জও রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন। আগামী ২৮ নভেম্বর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।"


এপ্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সুবোধ কান্ত সহায় বলেন, "ঝাড়খণ্ড বিধানসভা হাউসের নেতা হিসেবে হেমন্ত সোরেন-কে সমস্ত পার্টি কর্মী ও নেতা তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ বেছে নেওয়া হয়েছে ২৮ নভেম্বর।"


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৮১টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পেয়েছে ৩৪টি আসন। আর তাদের জোটসঙ্গীরা পেয়েছে ২২টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ১৬টি আসনে, আরজেডি ৪টি আসনে ও কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী-লেলিনবাদী) জয় পেয়েছে ২টি আসনে। অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৪টি আসন। তার মধ্যে বিজেপি ২১টি আসনে জিতেছে আর তাদের জোটসঙ্গী এজেএসইউ, লোক জনশক্তি পার্টি ও জেডি (ইউ) জিতেছে একটি করে আসনে। ঝাড়খণ্ডে এবার ভোট হয়েছিল দুটি পর্যায়ে। ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর।


শনিবার ঝাড়খণ্ডে জয়ের জন্য ইন্ডিয়া জোটকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পাল্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান হেমন্ত সোরেনও।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: PM Modi: "পরিবারবাদ ও নেতিবাচক রাজনীতি পরাজিত হয়েছে", মহারাষ্ট্রের জয়ে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদির