কলকাতা: পুজোর শেষ দিনে শহরে অগ্নিকাণ্ডে, বাঁশদ্রোণীতে এক বসতবাড়িতে আগুন (Bansdroni Fire Incident)। স্থানীয়দের দাবি, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই দমকলের দু'টি ইঞ্জিন পৌঁছেছে বলে খবর। পুজোর মধ্যে এটিই একমাত্র অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নয়। মহাষ্টমীর সন্ধেতেই শহরের ক্যানাল ইস্ট রোডে এক বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে।


পুজোয় আগুন...
আজকের ঘটনার আগে, মহাষ্টমীর দিন, সন্ধেয় যখন মণ্ডপে মণ্ডপে জনসমুদ্র, ঠিক তখনই ক্যানাল ইস্ট রোডের বাড়িতে ওই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট ৬টি সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা যায়। যদিও কীভাবে আগুন লাগল তা বহুক্ষণ পর্যন্ত স্পষ্ট ছিল না। এদিক জনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় দ্রুত। সে দিক থেকে দেখলে বাঁশদ্রোণীর আজকের ঘটনার সঙ্গে সেদিনের ঘটনার আপাত ভাবে কিছু মিল তো রয়েছেই। ক্যানাল ইস্ট রোডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীরা ল্যাডার ব্যবহার করেন। পাশাপাশি স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। তবে  শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেখানে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। যদিও আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। বাঁশদ্রোণীর ঘটনার দিকেও কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।


বার বার আগুন...
দিনকয়েক আগেই হাওড়ার সাঁকরাইলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ভোজ্য তেলের গুদামে আগুন লেগেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরাই আগুন দেখেন। পরে ৫ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কারখানা থেকে বেরিয়ে আসছিল কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়া। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সাঁকরাইল থানা ও ডোমজুড় থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী । এক এক করে ঘটনা স্থলে ১৬টা ইঞ্জিন পৌঁছয়। আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কারখানা। বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বলে যায়। এর ফলে আরও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গরম তেল চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। প্রচুর পরিমাণে ভোজ্য় তেল মজুত ছিল সেখানে। খবর পেয়ে পৌঁছন কারখানার লোকজন। তার আগে চাঁদনি চকে (Chandni Chowk Fire) ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর গোডাউনে আগুন লাগে। দোতলা থেকে আগুন ছড়ায় চারতলায়। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। সন্ধেয় ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর তাঁরাই খবর দেন দমকলে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রাথমিকভাবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে আগুন। এমনটাই দাবি করেছিলেন স্থানীয়দের। কিন্তু হঠাৎই বদলে যায় ছবিটা। দোতলাতে আগুন লাগলেও সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে চারতলা পর্যন্ত। প্রথম দুই তলে কম্পিউটারের পার্টস সহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী মজুত ছিল। তা থেকে বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন দ্রুত ছড়াতে শুরু করে।              


 


আরও পড়ুন:জোড়া সাইক্লোনের ফলা, পাহাড়ে বাড়বে দুর্যোগ?