মুম্বই: একেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হার, তার ওপর আবার গোটা টুর্নামেন্টে জঘন্য ফিল্ডিং বাবরদের। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে হারের পর এবার নিজেদের দেশের ক্রিকেটারদেরই সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram)। এর পরেই পাকিস্তানের কিংবদন্তি এই প্রাক্তন পেসার জানিয়েছেন, ''খুব লজ্জার একটা দিন। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিল আফগানিস্তান। পিচ যেমনই হোক না কেন, ২৮০-২৯০ যথেষ্ট বড় রান। দলের ফিটনেস কোথায়? গত দু’বছর ধরে কোনও ফিটনেস পরীক্ষা হয় না। আমরা বার বার এটা নিয়ে বলে এসেছি। এখন আমি ক্রিকেটারদের নাম নিয়েও বলি, যে কার কার ফিটনেস নেই। দেখে মনে হয় প্রতি দিন ৮ কিলো নিহারি (পাঁঠার মাংসের পদ) খায় ওরা। একটা তো পরীক্ষা হবে। সকলে পেশাদার ক্রিকেটার। টাকা পাচ্ছে খেলার জন্য। দেশের জন্য খেলতে নামছে। একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি তো থাকবে।''


রেকর্ডবুক বলছিল, ওয়ান ডে ক্রিকেটে দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে ৭-০ এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের ভাঁড়ার শূন্য (PAK vs AFG)। সোমবার চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামেও ফেভারিট হিসাবেই শুরু করেছিল পাকিস্তান।


কিন্তু কথায় আছে, ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। রেকর্ডবুক দেখে আর কবে কী-ই বা হাসিল হয়েছে?


বিশ্বকাপে (ODI World Cup) ফের অঘটন। নেপথ্যে, ফের আফগানিস্তান। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে যারা ক্রিকেটবিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এবার বধ পাকিস্তান। তাও ৮ উইকেটে। কার্যত একপেশেভাবে। এবারের বিশ্বকাপে 'জায়ান্ট কিলার' তকমাটাও নিজেদের জার্সির পিঠে সেঁটে নিয়েছেন হাশমাতুল্লাহ শাহিদিরা।


ম্যাচের প্রথমার্ধের ছবিটা কিন্তু বেশ আলাদা ছিল। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবর আজ়ম। যিনি নিজে এই ম্যাচে রানের মধ্যে ফিরলেন। আর এমন এক ম্যাচে ছন্দে ফিরলেন বাবর, যা পাকিস্তানের ক্রিকেটে কলঙ্ক বয়ে আনল।


চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের (PAK vs AFG) বিরুদ্ধে তিন নম্বরে নেমে ৭৪ রান করলেন পাক অধিনায়ক। হাফসেঞ্চুরি ওপেনার আবদুল্লা শফিকেরও। ৫৮ রান করলেন তিনি। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে রান পেলেন শাদাব খান ও ইফতিকার আমেদও। ৩৮ বলে ৪০ রান করলেন শাদাব। ২৭ বলে ৪০ রান ইফতিকার আমেদের। দুজনকেই শেষ ওভারে ফেরান নবীন উল হক। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ২৮২/৭।