হিন্দোল দে, সুকান্ত দাস ও রঞ্জিত হালদার, কলকাতা: বামনগাছি অঞ্চলের সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্য সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ১৩ দিন পর জয়নগরে (Jaynagar Violence) গিয়ে সিপিএম-সহ বিরোধীদের একহাত নিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিরোধীরা। রবিবার, ফের ত্রাণ দিতে দলুয়াখাকি গ্রামে যান কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল ও টুম্পা কয়াল।
তৃণমূল বিধায়ক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন,'আমি বলতে চাই সিপিএম, তোমার হার্মাদ, তোমার খুনি যত আছে নিয়ে এসো। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে আছি, একটা একটা করে খুন করো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈন্যকে তোমরা শেষ করতে পারবে না। পারবে না। পারবে না।' তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে এবার জয়নগরে দাঁড়িয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন ফিরহাদ হাকিম। একযোগে নিশানা করলেন বিরোধীদের। ১৩ নভেম্বর ভোরে জয়নগরে খুন হন, তৃণমূলের বামনগাছি অঞ্চলের সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্য সইফুদ্দিন লস্কর। অভিযোগ, ২টি মোটরবাইকে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার। সেই ঘটনার ১৩ দিন পর, রবিবার জয়নগরে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর, বাঙালবুড়ি মোড়ের কাছে সভা করেন ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'সইফুদ্দিন লস্কর কী অন্য়ায় করেছে? কোনও বড় মানুষের টাকা মেরে দিয়েছে? কোথাও কারও স্বার্থে ঘা লেগেছে? না। সমপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কারণে যাদের সইফুদ্দিন লস্কর যদি থাকে, তাহলে এখানে সিপিএমের পায়ের তলার মাটি পাবে না। শুধু তার জন্যে একটা লোককে, হত্যা করে দিল। খুন করে দাও। হত্য়া করে দাও। একটা অনুরোধ আপনাদের আর কেউ এলাকায় সিপিএমকে বিশ্বাস করবেন না। সিপিএম মানেই বিজেপি। সব খুন যা হচ্ছে বাংলায় পেছন থেকে মদত দিচ্ছে ওই মোটা ভাই।' সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হওয়ার পরপরই অভিযুক্ত সন্দেহে পিটিয়ে খুন করা হয় সাহাবুদ্দিন লস্কর নামে এক ব্যক্তিকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দলুয়াখাকি গ্রামে একের পর এক সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়ি।
আরও পড়ুন, আগ্রায় পেট্রোলের দাম একধাক্কায় বাড়ল ৩১ পয়সা, কলকাতায় জ্বালানির দর কী ?
এদিন তা নিয়ে, নাম করে বিজেপি, সিপিএম ও আইএসএফকে নিশানা করেন ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ বলেন, 'দুটো টালি ভাঙল নৌশাদ শুভেন্দু সুজন সব চলে গেল। হুক্কাহুয়ার দল। গাঁটছড়া বেঁধেছে এরা। বাংলায় চক্রান্ত করতে দেবনা। পারবে সিপিএম মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে? দম আছে? লড়াই একজনই করবে বাপের বেটি মমতা বন্দোপধ্যায়। লজ্জা হওয়া উচিত সিপিএম আইএসএফের। ভোট ভাঙাভাঙি করে বিজেপির হাত শক্ত করছেন? ছি! সিপিএম আইএসএফের মতো বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করব না।' পাল্টা জবাব বিরোধীদের। এদিকে, রবিবার, ফের ত্রাণ দিতে দলুয়াখাকি গ্রামে যান কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল ও টুম্পা কয়াল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।