অনির্বাণ বিশ্বাস ও হিন্দোল দে, কলকাতা: বিসর্জনের সময় বাবুঘাটে (Babughat) বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুরসভার পে লোডারের ধাক্কায় আহত এক শিশু। পে লোডারের চালককে বেধড়ক মারধর করেন এক বারোয়ারির সদস্যরা। মার খান পুরসভার এক কর্মীও। কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ (Police)। পরে বিসর্জনের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।                   


মেয়রের মন্তব্য


বিকেলে বাবুঘাটে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার কর্মীদের কাছে পে লোডার দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নেন তিনি। বিসর্জনের ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে, স্পিড বোটে করে বাবুঘাটের চারপাশ ঘুরে দেখেন মেয়র। এরপর মেয়র বলেন, "চাকা স্কিড করে যায়, তাই দুর্ঘটনা। বাচ্চাটির অল্প চোট লেগেছে। তবে গুরুতর কিছু হয়নি। সমন্বয়ের অভাবের কোনও ব্যাপার নেই।"          


ঠিক কী হয়েছে?


বিসর্জনে রীতিমতো বিশৃঙ্খলা। পে লোডারের ব্রেক ফেল হয়ে বিপত্তি। তা নিয়েই ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধল বাবুঘাটে।ভাসানে আনন্দ করতে গিয়ে হাসপাতালে যেতে হল এক শিশুকে। প্রসঙ্গত,  বুধবার সকাল ৯টা থেকে প্রতিমা বিসর্জন চলছিল বাবুঘাটে। বারোয়ারি থেকে বাড়ির প্রতিমা ভাসানের জন্য ভিড় ছিল। প্রতিমার কাঠামো নদী থেকে তুলে ফেলার জন্য কাজ করছিল পুরসভার পে লোডার। হঠাৎ একটি পে লোডার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢালু ঘাট দিয়ে গড়িয়ে যেতে শুরু করে। কেউ কিছু বুঝবার আগেই সেটি গড়িয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে ভাসানে উপস্থিত কয়েকজনকে।


আরও পড়ুন, "আসছে বছর আবার এসো মা", সিঁদুরখেলায় মাতলেন কোয়েল-ঋতুপর্ণা-পাওলি


গুরুতর চোট লাগে এক শিশুর। এই ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় বাবুঘাট চত্বরে। পে লোডারের খালাসি চম্পট দিলেও, চালককে ধরে মারধর করতে শুরু করেন কয়েকজন। অন্য এক বারোয়ারির সদস্যরা পে লোডার চালককে বাঁচাতে যান। তা নিয়ে আরেক দফা ঝামেলা শুরু হয়। যাঁরা চালককে মারধর করছিলেন, তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়ান পুরসভার এক কর্মী।


এই ঘটনার পর, দুপুর আড়াইটের সময় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় বাবুঘাটে। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় ঘাটে নামার পথ। বাড়ি হোক বা বারোয়ারি, ৬ জনের বেশি কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে।