অনির্বাণ বিশ্বাস, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও আশিস বাগচী, কলকাতা: রাজ্যে (West Bengal) হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গির তথ্য গোপনের অভিযোগ করল বিরোধীরা। বিজেপি (BJP) থেকে কংগ্রেস (Congress), প্রত্যেকেই নিশানা করেছে রাজ্য সরকারকে। এদিকে এই প্রেক্ষিতে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল (Trinamool)।                   


কলকাতা থেকে দার্জিলিং। ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে ডেঙ্গি। কার্যত প্রতিদিন যাচ্ছে প্রাণ। শুক্রবার খাস বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, চিকিৎসক অনির্বাণ হাজরার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। আর এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেই, করোনার পরে এবার ডেঙ্গির ক্ষেত্রেও তথ্য গোপনের অভিযোগে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করল বিরোধীরা। তাঁদের নিশানায় খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ মেয়র ও তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "আমরা এমন একটা আবহাওয়া থাকি যেখানে ডেঙ্গি হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। শুধু কর্পোরেশনের নামে আপনি দোষ দিতে পারেন সরকারের নামে দোষ দিতে পারেন কিন্তু সত্যিকারের প্রতিরোধ করতে হবে। তার কারণ যারা বিরোধীরা নাচানাচি করছে তাদের রাজ্য কিন্তু ডেঙ্গিহচ্ছে এবং ভয়াবহ ভাবে হচ্ছে। খুব বেশি ডেঙ্গি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, সেখানে আবার প্লেটলেটের বদলে লেবুর রস দেওয়া হয়েছিল।" 


আরও পড়ুন, ভাল নয় আর্থিক অবস্থা, বেশি ডিএ দিতে গেলে আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়, কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার


কী অভিযোগ করেছে বিরোধীরা?


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তথ্য গোপন করছে সরকার। কেন্দ্রকে জানাব। সোমবারের মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেব। ডেঙ্গি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যর্থ।  প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "সরকার যে সংখ্যা দেখাচ্ছে, তার থেকে ২৬২ গুণ বেশি ডেঙ্গি পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। সরকার নির্বিকার, উদাসীন। মানুষতো মরবি মর। দেখার দরকার নেই। সরকার সমস্ত তথ্য গোপন করছে। আর ফিরহাদ তো ডেঙ্গি মিনিস্টার।" 


স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এ মরসুমে এখনও অবধি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই । সূত্রের দাবি, রাজ্যে এখনও অবধি ৭২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু, বিরোধীদের দাবি, সংখ্যাটা এর চেয়ে অনেক বেশি! চিকিৎসকদের ওপর চাপ দিয়ে, ডেঙ্গিতে মৃত্যু না লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এমনটা করে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।