বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পাঁশকুড়া (pashkura) এলাকার পশ্চিম ন্যাকড়ায় ,NH-6 জাতীয় সড়ক (national highway) অবরোধ করে বিক্ষোভ (agitation) দেখালেন ফুলচাষীরা (flower farmer)। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তাঁদের প্রায়ই হয়রানি (harrassment) করা হয়। তারই প্রতিবাদে সোমবার ভোরবেলায় অবরোধে সামিল হন ফুলচাষিরা।
কী ঘটেছিল?
এদিনের বিক্ষোভে দুই মেদিনীপুর-সহ অন্যান্য জেলা থেকেও ফুলচাষিরা যোগ দিয়েছিলেন। আধ ঘণ্টা ধরে অবরোধ কর্মসূচি চলে। ভোরবেলাতেই জাতীয় সড়কে যান চলাচল থমকে যায়। পরে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। উল্লেখ্য, গত বছর লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের ফুলচাষিদের বড় অংশ।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা...
গত বছরের ঘটনা। নিম্নচাপের জেরে দিন কয়েকের লাগাতার বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল নদিয়ার ফুল চাষে। তখনও করোনা আবহ পুরোদস্তুর। তার মধ্যেই ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে পড়েন ফুলচাষিরা। রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। যে সময়ে এমন বিপর্যয়, সব কিছু ঠিক থাকলে তার আর ক’দিন পরেই সব জমি ভরে থাকত চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, রজনীগন্ধায়। একবার চাষ হয়ে গেলে আর বছরভরের ভাবনা থাকবে না। এমনটাই ভেবেছিলেন, নদিয়ার রানাঘাট দু’নম্বর ব্লকের ধানতলা, নতুনগ্রাম, বঙ্কিমনগরের বিশ্বজিৎ, সুবোধরা। কিন্তু, প্রকৃতি এঁদের ওপর এতটা রুষ্ট, তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। দিনকয়েকের টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন নদিয়ার ফুল চাষিরা। কোথাও জমা জলে পচে যায় শিকড়। কোথাও আবার জলের তোড়ে নুইয়ে পড়ে চন্দ্রমল্লিকার চারা। প্রতিবছরই শীতের সময় এঁরা ফুল রফতানি করেন কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। মোটা টাকা উপার্জনও হয়। কিন্তু প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় সে বছর শুধুই দুশ্চিন্তায় দিন কেটেছিল ফুলচাষীদের। যদিও তাঁদেরই একাংশের মতে, শুধু প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা নয়, আরও নানা ধরনের হয়রানি সহ্য করতে হয় মাঝেমধ্যেই। রাতের অন্ধকারে নানা ধরনের হেনস্থা চলে তাঁদের উপর। সবের প্রতিবাদেই এদিন অবরোধ করেন ফুলচাষিরা। তবে শুধু দুই মেদিনীপুর নয়। আরও জেলা থেকে তাতে সামিল হয়েছিলেন অনেকে। প্রসঙ্গত, মাসতিনেক আগে ক্ষতিপূরণের দাবীতে কার্জনগেট চত্বরে জিটি রোড অবরোধ করেন মেমারির রসুলপুরের আলু চাষীরা। ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলবে বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছিলেন তাঁরা।। অভিযোগ ছিল, মেমারির রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে রাখা আলু হিমঘর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে নষ্ট হয়ে গেলেও তার ক্ষতিপূরণ নিয়ে ৩ মাস ধরে বিভিন্ন স্তরে টালবাহানা চলছে।