সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : সঙ্কট কাটেনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ( Buddhadeb Bhattacharjee ) । এখনও ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে (mechanical ventilation) রাখা হয়েছে বাইল্য়াটারাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।

ফুসফুসের সিটি স্ক্যান


সোমবার সকালে ফুসফুসের সিটি স্ক্যান ( CT Scan ) করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ভেন্টিলেশন সাপোর্ট কমানোর মতো পরিস্থিতি হয়েছে কি না, তা সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে ঠিক করা হবে। এখন অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল খুব বেশি ওঠা-নামা করছে না। আপাতত জ্বর নেই বুদ্ধবাবুর।


জ্বর নেই


চিকিৎসকরা মনে করছেন, অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করায় জ্বর আসা বন্ধ হয়েছে। তবে শ্বাসনালী ও ফুসফুসে সংক্রমণ থাকায়, হাই ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বুদ্ধবাবুকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি সচেতন রয়েছেন, ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন।  
চিনতেও পারছেন পরিচিতদের


রক্তচাপ দ্রুত কমতে থাকায় শনিবার রাতেই তড়িঘড়ি বুদ্ধবাবুকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে পুরোপুরি মেকানিক্য়াল ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, তাঁকে চিনতেও পেরেছেন বুদ্ধবাবু।  চিনতে পেরেছেন, বামফ্রন্ট চেয়ারম্য়ান বিমান বসুকেও। শুনতে পাচ্ছেন, সাড়াও দিচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। 


হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, বাইল্য়াটারাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।  তাঁর মিক্সড রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়েছে। দীর্ঘদিনের COPD-সমস্য়ার পাশাপাশি করোনা হওয়ায় দরুণ তাঁর শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  


শারীরিক অবস্থার খুঁটিনাটি 


রবিবার, তাঁর ইকো কার্ডিওগ্রাম করা হয়।  হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রের অবস্থা স্থিতিশীল। শনিবার, রক্তে শর্করার মাত্রা ৪০০-র আশেপাশে ছিল। ইনসুলিন প্রয়োগ করে তা ২০০-র নিচে নামানো যায়। তবে রবিবার হাসপাতাল সূত্রে খবর ছিল, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি রয়েছে। বেশিরভাগ খাবার রাইলস্ টিউবের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।  সবার প্রার্থনা এখন একটাই, দ্রুত সেরে উঠুন বুদ্ধবাবু।  

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁর হাজার হাজার অনুগামী। দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতারা বলেছেন, তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন তিনি। রবিবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে উডল্যান্ডস হাসপাতালে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্য়ান বিমান বসু। তিনি জানান, কেমন আছ, প্রশ্ন করায় মাথা নেড়েছেন বুদ্ধবাবু। হাসপাতালে আসেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, শুভেন্দু অধিকারী ও নৌশাদ সিদ্দিকিরাও।  


তবে এই প্রেক্ষাপটে রবিবার বিতর্কিত মন্তব্য করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'বুদ্ধবাবুর আরোগ্য আমিও চাই, উনি সুস্থ থাকুন। কিন্তু দয়া করে আদিখ্য়েতার পোস্টে ওঁকে মহাপুরুষ বানাবেন না। উনি সিপিএম আর ওঁর ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভুলে বহু ক্ষতি হয়েছে। ' অন্যদিকে কুণালের উলটো সুরে বুদ্ধবাবুর প্রশংসা শোনা যায় মদন মিত্রের গলায়।