সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তর নিরাপত্তা পুনর্বহালের জন্য অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশি রিপোর্টে অসন্তুষ্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালতের নির্দেশ, আজই নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিতে হবে। আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা বহাল থাকবে বলে অন্তবর্তী নির্দেশ দেন বিচারপতি।


নিরাপত্তা পুনর্বহালের জন্য অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি: এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, "প্রাক্তন আইজি-র সঙ্গে এই ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়, মনে রাখবেন বর্তমান আইজি-ও কিন্তু অবসর নেবেন।'' "৬ জনের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কারা সেটা স্পষ্ট নয়। উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের ওপর আক্রমণের আশঙ্কা আমৃত্যু থাকে।''  মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ১৬ই মে পরবর্তী শুনানি। ওইদিন পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য।  


২০১১ সালে, রাজ্য পুলিশের IG পদ থেকে অবসর নেন পঙ্কজ দত্ত। প্রাক্তন IG- হিসাবে একজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন তিনি। অভিযোগ, সম্প্রতি, কিছু না জানিয়েই রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন IG পঙ্কজ দত্তর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য সরকার। বিষয়টি এবিপি আনন্দর 'ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন' অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা। এরপরই, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন IG পঙ্কজ দত্ত।


'এবিপি আনন্দ'-এ কী বলেছিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা?
কলকাতা পুলিশের সমালোচনা করে প্রাক্তন আইজি বলেছিলেন, 'কয়েকজন অপরাধীকে যে ধরা যায়নি, তার নেপথ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। যেখানে মহামান্য সেকেন্ড ইন-কম্যান্ডরা বুক ফুলিয়ে বিচারপতিদের নামে কটু কথা বলেন, সেখানে রাজনৈতিক মদত না থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে না।' এর পরই পঙ্কজ দত্ত বলেন, 'এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ করেননি, এই কথা আগের দিনের অনুষ্ঠানেই বলেছিলাম। ...এই কথা বলার পর দিনই আমার যে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন তাঁকে কিছু না জানিয়ে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।' প্রবীণ প্রাক্তন পুলিশকর্তা জানিয়েছিলেন, গত ৪০ বছর ধরে একটি নির্দেশ এই রাজ্যে বলবৎ রয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, পুলিশের আইজি, এডিজি এবং ডিজি পদমর্যাদার অফিসাররা অবসরের পর এক জন নিরাপত্তারক্ষী পাবেন। তিনিও পেয়েছিলেন। কিন্তু এবিপি আনন্দর 'ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন' অনুষ্ঠানে তাঁর মন্তব্যের পর দিনই সেই নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, জানান প্রাক্তন আইজি। তবে তিনি যে সত্যি কথা বলার ব্যাপারে কোনও অবস্থাতেই পিছপা হবেন না, সেটিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন  পঙ্কজ দত্ত।