রুমা পাল, কলকাতা: আজই আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামের (Dhana Dhanya Auditorium) উদ্বোধন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাবনায় তৈরি এই বিশাল অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করবেন তিনিই। প্রায় সাড়ে ৬০০ কর্মীর রাতদিনের প্রচেষ্টায়, সাড়ে চারশো কোটি টাকা খরচে তৈরি হয়েছে এই প্রেক্ষাগৃহ।                       


দিনে তার তুষার-শুভ্র রূপ। রাতে অজস্র আলোর ছটা। সম্পূর্ণ, শঙ্খের নির্মাণ। বৃহস্পতিবারই উদ্বোধন আলিপুরের ধনধান্য় অডিটোরিয়ামের। প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি বিশাল এই অডিটোরিয়ামের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।


অডিটোরিয়ামের নকশাও পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা। নির্মাণের দায়িত্বে ছিল পূর্ত দফতর। মিনি অডিটোরিয়াম থেকে ব্যাঙ্কোয়েট। স্ট্রিট থিয়েটার কর্নার থেকে মাল্টিপারপাস হল। কী নেই ৬ তলা, ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। 


শঙ্খের ভিতরটা পুরোটা লোহার স্ট্রাকচার। ওপরে বহুমূল্য জিঙ্কের চাদর। এই জিঙ্ক এসেছে সুদূর জার্মানি থেকে। জাপান থেকে আনা হয়েছে বিশেষ আলো। যেখানে ৩৩ হাজার রং ফুটে উঠবে। ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল অডিটোরিয়ামটি তৈরির কাজ। কিন্তু করোনাকালে কাজের গতি থিতিয়ে পড়ে।  


আরও পড়ুন, মিড ডে মিলের টাকা থেকে বগটুইয়ে ক্ষতিপূরণ! অভিযোগ কেন্দ্রীয় রিপোর্টেও



 
২০২১-এ ফের যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় শুরু হয় কাজ। প্রায় সাড়ে ৬০০ কর্মীর রাতদিনের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ হয়েছে শঙ্খ-নির্মাণ। 


বৃহস্পতিবার যে শ্রমিকরা এই অডিটোরিয়াম তৈরি করেছেন তাঁদের ডেকে সম্বর্ধনা দিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিন মমতা বলেন, 'যারা এই নির্মাণ করেন তাদের নির্মাণের পর নো-এন্ট্রি বোর্ড দেখিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, আমি এই শ্রমিকদের সম্পদ মনে করি। মুখ্যসচিবকে বলব যারা ধনধান্য তৈরি করেছেন তাদের ডেকে সম্বর্ধনা দিতে।
 
মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় শঙ্খের আকারে গড়ে তোলা হয়েছে অডিটোরিয়ামটি। সে প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'শঙ্খের আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে কারণ শঙ্খ মঙ্গলের প্রতীক। শঙ্খের সঙ্গে সমুদ্রেরও যোগ আছে। অর্ডিনারি করে কী হবে?' অডিটোরিয়ামকে শঙ্খের আকার দিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্রান্স থেকে আনা বিশেষ ধরনের জিঙ্ক।  


ধনধান্যের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দিঘায় ১৭ একর জমির উপর গড়ে উঠছে জগন্নাথ ধাম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা একটা জগন্নাথ ধাম তৈরি করছি। পুরির জগন্নাথ ধামের উচ্চতার। এত বড়। ১৭ একর জায়গার উপরে। পুরির মন্দিরটা নিমকাঠ দিয়ে হয় মূর্তি আমরা এখানে যেটা করব মার্বেল পাথর দিয়ে করব মূর্তি। ওই স্টাইলে বানাচ্ছি।' 


৩টি ব্যাঙ্কোয়েট হল, ফুডকোর্ট রয়েছে এখানে। রয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ের ব্য়বস্থা। যেখানে ৩০০টি গাড়ি পার্ক করা যাবে।