ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: আচমকা অ্যাকাউন্ট (Account) থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা (Money)! বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আধার নম্বর (Aadhar Card), বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করে প্রতারণার অভিযোগ। কীভাবে ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা? কীভাবেই বা এর হাত থেকে বাঁচবেন? বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। 



অজানা কোনও লিঙ্কে ক্লিক নয়! ওটিপি শেয়ারও করেননি। এমন নয়, যে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলেছেন। কিন্তু, হঠাৎ মোবাইলে মেসেজ এল আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। ভাবছেন, এ কীভাবে সম্ভব? কিন্তু, এই প্রতারণারই খপ্পরে পড়ছেন কলকাতা বন্দর এলাকা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ -সহ বহু জেলার বাসিন্দা। নেপথ্যে আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম। 


কীভাবে হচ্ছে এই কাজ? 


প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে এটিএমের সংখ্যা কম, সেখানে এই পদ্ধতিতে ব্যাঙ্কিং-এর কাজকর্ম করে থাকেন গ্রাহকেরা। আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম বা (AEPS) হল, যেখানে ব্যাঙ্কের একজন গ্রাহক তাঁর আধার পরিচয় ব্যবহার করে ব্যালান্স যাচাই, টাকা তোলা, টাকা পাঠাতে পারেন। বনগাঁর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সন্তুকুমার দে। 


তাঁর দাবি, জমি বিক্রির জন্য একটি ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় নথির পাশাপাশি আধার কার্ড নম্বর ও বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপলোড করেছিলেন। তাতেই বিপত্তি! কলকাতা (সাইবার ক্রাইম) পুলিশ কমিশনার অতুল ভি জানান যে এমন ঘটনার রিপোর্ট কলকাতাতেও অভিযোগ এসেছে। 



এই ধরনের ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে আরও সচেতনতা প্রয়োজন, বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। 


শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাকের ফাঁদে পড়ে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা খুইয়েছেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। জোড়াবাগান থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের সাইবার শাখাতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খোয়া যাওয়া টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল সোনার কয়েন। 



কিন্তু, কীভাবে দেড়লক্ষ টাকার বেশি গায়েব হল জোড়াবাগানের বাসিন্দার অ্যাকাউন্ট থেকে? 


পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে এক নামকরা প্রাইভেট ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেন জোড়াবাগানের এক বাসিন্দা। ৫ এপ্রিল হাতে পেয়েও যান ক্রেডিট কার্ড। ৩দিন পর, ৮ এপ্রিল সন্ধেয় একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে, নিজেকে সেই ব্যাঙ্কের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁকে জানান, ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ৫ হাজার টাকার ‘ক্যাশব্যাক অফার’ দেওয়া হচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার সময় ক্যাশব্যাক সম্পর্কে জানায় সন্দেহ হয়নি জোড়াবাগানের বাসিন্দার। এরপরই, তাঁকে পাসওয়ার্ড ও লিঙ্ক-সহ একটি ইমেল পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জোড়াবাগানের বাসিন্দা লিঙ্কে ক্লিক করে ক্রেডিট কার্ড ডিটেল দিয়ে ক্যাশব্যাকের আবেদন করেন। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে একটি OTP আসে। ওটিপি দিতেই, SMS আসে অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়। 


 


আরও পড়ুন, আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন