ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: মোবাইল (Mobile) ফোনের টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ। ১২ জনকে গ্রেফতার করল লালবাজারের (Lalbazar) গুন্ডাদমন শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, উল্টোডাঙা মেন রোডের ২টি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৪০টি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক।
ফের প্রচারণা চক্রের পর্দাফাঁস: শহরে ফের এক প্রচারণা চক্রের পর্দাফাঁস। মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। উল্টোডাঙায় ২টি অফিসে হানা পুলিশের। গ্রেফতার করা হল ১২ জনকে। উল্টোডাঙা মেন রোডে ২টি অফিসে বসে প্রতারণার কারবার চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুটি অফিসে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকে। সিল করে দেওয়া হয় ২টি অফিস। পুলিশ সূত্রে দাবি, ২টি অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০টি মোবাইল ফোন। কম্পিউটার ও হার্ড ডিস্ক। এছাড়াও বেশ কিছু নথিপত্র মিলেছে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে শহরে সাইবার প্রতারণার নতুন চক্র। ফোনে আসা OTP বলতে হচ্ছে না! শেয়ার করতে হচ্ছে না কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও। নিদেনপক্ষে ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও আর্থিক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি এমনই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের বাসিন্দা এই যুবক। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তিনি। তাঁর দাবি, কয়েকদিন আগে, তাঁর মোবাইলে সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থার নাম করে একটি ফোন আসে। যুবককে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক ঠিকঠাক আছে তো? কথা বলতে গেলে নেটওয়ার্কের কোনও সমস্যা হয় না তো? ফোন করার সময় কি কল ড্রপ হয়?
বারাসাতের বাসিন্দা ওই যুবকের দাবি, তিনি জানান, মাঝে মাঝে তাঁরও এই ধরনের নেটওয়ার্কের সমস্যা হয়। অনেক সময় কথা বলতে বলতে ফোন কেটেও যায়। অভিযোগ, এরপরেই নাটকীয় মোড় নেয় গোটা ঘটনা! যুবকের দাবি, নেটওয়ার্কের সমস্যা জানানোর পর, তাঁকে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। বলা হয়, তাঁর ফোন থেকে স্টার ফোর জিরো ওয়ান স্টার (*401*) টাইপ করে তারপর সেই মোবাইল নম্বর দিয়ে কল করতে। যুবকের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর মোবাইল ফোনে সেভ থাকা বিভিন্ন নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ যেতে শুরু করে। মেসেজে বলা হয়, তাঁর দুর্ঘটনা হয়েছে। চিকিত্সার জন্য জরুরি ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন রয়েছে। সঙ্গে অনলাইনে টাকা পাঠানোর জন্য একটি UPI আইডি দেওয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিশেষ ওই কোড দেওয়ার পরই, মোবাইল ব্যবহারকারীর ফোন, প্রতারকের বলে দেওয়া ফোন নম্বরে ডাইভার্টেড হয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাঁর হোয়াটস অ্যাপেরও দখল নেয় প্রতারকরা।
আরও পড়ুন: Darjeeling : বাগডোগরা বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবা বিপর্যস্ত, সমাধান কার হাতে ?