কলকাতা: শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথে আছড়ে পড়ল কুড়মিদের ক্ষোভ। চলল গাড়ি ভাঙচুর, মারধর। উঠল স্লোগান। এর আগে বাঁকুড়াতেও কুড়মিদের ক্ষোভের মুখে পড়েন অভিষেক। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য়ের জেরে খড়গপুরের বাংলোতেও চড়াও হয় কুড়মিরা।


আছড়ে পড়ল কুড়মিদের ক্ষোভ: আজ, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে, তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সমাবেশে বক্তব্য় রাখবেন তৃণমূলনেত্রী। তার আগের দিন গড় শালবনিতে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের যাত্রাপথে আছড়ে পড়ল কুড়মিদের ক্ষোভ। তৃণমূলের পতাকা ছুড়ে ফেলে দেওয়া। পরপর গাড়ি লক্ষ্য় করে ইটবৃষ্টি। কাচ ভাঙচুর। বাদ গেল না কিছুই। এটা অবশ্য় প্রথমবার নয়। এর আগে মঙ্গলবারও কুড়মি আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সেদিন বাঁকুড়ার জায়গায় জায়গায় থমকে যায় তাঁর কনভয়। প্রথমে বনকাটি মোড়ে থমকায় অভিষেকের গাড়ি। সেখানে গাড়িতে বসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। এরপর পুখুড়িয়া মোড়ে ফের বাধার মুখে পড়ে অভিষেকের কনভয়। তাঁর গাড়ি বেরিয়ে গেলেও, আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের জেরে কনভয়ের বাকি গাড়িগুলি আটকে পড়ে। খাতরার জামদায়, কুড়মিদের ক্ষোভের জেরে ফের দাঁড়িয়ে পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়।

এর আগে কুড়মিদের সম্পর্কে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির মন্তব্য় ঘিরেও তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। বিতর্ক এবং ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছোয়, যে মুখ্য়মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হয়।এরপর কুড়মিদের নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য়েও বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। এই মন্তব্য়ের জেরে, জঙ্গলমহলে দিলীপ ঘোষকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি তাঁর বাংলোয় চড়াও হন কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনকারীরা। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করে তারা। এরপর, সেখানেই বসে পড়ে চলে বিক্ষোভ। এবার কুড়মিদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ল অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কনভয়ের যাত্রাপথে।


এদিকে এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই দাবি-দাওয়া পেশ করতে চান কুড়মিরা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে অনুমতি চেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিল কুড়মিদের সংগঠন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। এর পাশাপাশি, ফের একবার অভিষেকের কনভয়ে হামলা-যোগ অস্বীকার করে বহিরাগতদের দিকে আঙুল তুলেছেন কুড়মিরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কুড়মিদের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির দাবি, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জঙ্গলমহলে যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এলে তাঁর কাছে কুড়মিরা গিয়ে দাবি-দাওয়া জানাবেন ও সংশ্লিষ্ট দলের অবস্থান জানতে চাইবেন। 


আরও পড়ুন: Lifestyle: শুধু বাইরে নয়, ঘরেও দরকার সান স্ক্রিন, মানেন অনেকেই