কলকাতা: ফের দেশে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল পেট্রোলের (Petrol) দাম। ডিজেলের (Diesel) দাম ১০০ ছুঁইছুঁই। লিটারপ্রতি ৮৪ পয়সা বেড়ে কলকাতায় (Kolkata) পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে ১১৩ টাকা ৩ পয়সা। লিটারে ৮০ পয়সা বেড়ে কলকাতায় ডিজেলের দাম হয়েছে ৯৭ টাকা ৮২ পয়সা। এই নিয়ে ১৩ দিনে ১১ বার বাড়ল জ্বালানির দাম। মূল্যবৃদ্ধির জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের।


ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বাড়ছে দাম


উত্তরপ্রদেশ-সহ (Uttar Pradesh) পাঁচ রাজ্যে ভোটের (Elections) ফল বেরিয়েছে ১০ মার্চ। এরপর ২২ মার্চ থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। ১৩ দিনে ১১ বার বাড়ল জ্বালানির দাম। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও। আনাজ, মাছ-মাংস থেকে ভোজ্য তেল, সবকিছুরই দাম চড়ছে হু হু করে। অগ্নিমূল্য বাজার, মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। নাভিশ্বাস উঠছে সকলের।


কেন্দ্রকে আক্রমণ বিরোধীদের


কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির দায় কার? কেন বেলাগাম পেট্রোল-ডিজেলের দাম? কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিরোধী দলগুলির। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘মোদির শাসনে দেশ বিধ্বস্ত। বিজেপি-র জয় দেশকে লোটার লাইসেন্স। মানুষের ঘাড়ে করের বোঝা। কৃষি আইন প্রত্যাহার করায় প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।’ 


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘ভয়ঙ্কর রাজনীতি করছে। দেশকে ক্রমশ বিপর্যস্ত ও মানুষকে চাপের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’


বিরোধীদের জবাব বিজেপি-র


বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা জবাব বিজেপি-র। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতায় দাম বাড়ছে। সরকার এর কোনও নিয়ন্ত্রণ করে না। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিও দাম নিয়ন্ত্রণ করেন না।’


ভুগছে মানুষ আর যুক্তি খাড়া করতে ব্যস্ত রাজনীতির কারবারিরা। তাই এই সব তত্ত্ব কথায় পড়তে রাজি নন ভুক্তভোগীরা। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, কবে সমস্যার সুরাহা হবে? কবে আয়ত্তের মধ্যে আসবে সবকিছু?