জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে করোনা মোকাবিলায় তত্পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। গঙ্গাসাগর যাওয়ার আগে কাকদ্বীপ, নামখানা পয়েন্টে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য কাকদ্বীপে তৈরি করা হয়েছে দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও ৩টি সেফ হোম। নামখানাতেও একটি করে কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও সেফ হোমের ব্যবস্থা থাকছে। 


পাশাপাশি, প্রতিটি জেটিঘাটে তৈরি হয়েছে স্যানিটাইজার টানেল। এই টানেল দিয়েই উঠবে হবে ভেসেলে।প্রশাসন সূত্রে খবর, লট এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ভেসেল চালানো হবে। জেটিঘাটগুলিতে মাস্ক পরা নিয়েও চলছে কড়া নজরদারি।  


গঙ্গাসাগর মেলার আগে আউট্রাম ঘাটে ভিড় করেছেন পুণ্যার্থীরা। সেখানে পুরসভার ক্যাম্পে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসা পুণ্যার্থীকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেল পুলিশ। আজ আউট্রাম ঘাটে গঙ্গাসাগরের ৪০ জন পুণ্যার্থীর কোভিড টেস্ট হয়। ৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। 


এদিকে গঙ্গাসাগরের এক পুণ্যার্থী জানালেন, "কোই দওয়া সে, ডক্টর সে করোনা নেহি যায়েগা। দয়া ধর্ম করো। করোনা অটোমেটিক চলা যায়েগা।" (কোনও ওধুধে, ডাক্তার দিয়ে করোনা তাড়ানো যাবে না। দয়া ধর্ম করতে হবে। করোনা অটোমেটিক চলে যাবে। কেউ বাতলে দিচ্ছেন করোনা নিরাময়ের ওষুধ! কারও আবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরও নাটকের অন্ত নেই।                                           


শনিবার এ ছবি দেখা গেল আউট্রাম ঘাটে কলকাতা পুরসভার টেস্টিং সেন্টারে। এদিন সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করান গঙ্গাসাগরের ৪০ জন পুণ্যার্থী। তার মধ্যে ৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।  রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, কিন্তু তাতে কী? কখনও মাস্ক খুলে শিবিরের ভেতরে সতীর্থের সঙ্গে চলছে গল্প। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য আসা পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশের মুখেই নেই মাস্ক। কেউ কেউ নিয়মরক্ষা করেছেন। থুতনিতে মাস্ক রেখেই চলছে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি।