পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলার আগে আউট্রাম ঘাটে ভিড় করেছেন পুণ্যার্থীরা। সেখানে পুরসভার ক্যাম্পে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসা পুণ্যার্থীকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেল পুলিশ। আজ আউট্রাম ঘাটে গঙ্গাসাগরের ৪০ জন পুণ্যার্থীর কোভিড টেস্ট হয়। ৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
এদিকে গঙ্গাসাগরের এক পুণ্যার্থী জানালেন, "কোই দওয়া সে, ডক্টর সে করোনা নেহি যায়েগা। দয়া ধর্ম করো। করোনা অটোমেটিক চলা যায়েগা।" (কোনও ওধুধে, ডাক্তার দিয়ে করোনা তাড়ানো যাবে না। দয়া ধর্ম করতে হবে। করোনা অটোমেটিক চলে যাবে। কেউ বাতলে দিচ্ছেন করোনা নিরাময়ের ওষুধ! কারও আবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরও নাটকের অন্ত নেই।
শনিবার এ ছবি দেখা গেল আউট্রাম ঘাটে কলকাতা পুরসভার টেস্টিং সেন্টারে। এদিন সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করান গঙ্গাসাগরের ৪০ জন পুণ্যার্থী। তার মধ্যে ৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, কিন্তু তাতে কী? কখনও মাস্ক খুলে শিবিরের ভেতরে সতীর্থের সঙ্গে চলছে গল্প। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য আসা পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশের মুখেই নেই মাস্ক। কেউ কেউ নিয়মরক্ষা করেছেন। থুতনিতে মাস্ক রেখেই চলছে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি।
আরও পড়ুন, 'ভুলে গেছি , ব্যাগে আছে', মাস্কের বদলে মাফলার মুখে! কোভিড ঝড়ের মাঝেই অনিয়ম চিত্র রাজ্যে
কেউ তো আবার...মাস্কহীন মুখে বলছেন করোনা মোকাবিলার পথ। এদিকে, পুরসভার তরফে বাবুঘাটেও করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত সেখানে পরীক্ষার জন্য কেউ আসেননি। শিয়ালদা স্টেশনেও শনিবার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন কোনও পুণ্যার্থী সেখানে টেস্টের জন্য না এলেও, স্টেশনে আসা মৃদু উপসর্গ থাকা যাত্রীদের কেউ কেউ টেস্ট করান। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ৪০ জনের টেস্ট হয়। তাঁদের মধ্য ৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এদিকে, রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ বেড়ে ১৯ হাজার ছুঁইছুঁই। টানা দু’দিন ১৮ হাজারের বেশি দৈনিক সংক্রমণ।গতকালের তুলনায় আজ সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ল ৫৮৯। রাজ্যে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৯। রাজ্যে পজিটিভিটি রেট বেড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ। কলকাতায় ৭ হাজারের উপরেই রইল দৈনিক সংক্রমিতর সংখ্যা।