গঙ্গাসাগর: 'সব  তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার', মুখে এই বুলি আওড়ানো হলেও, বার বার গঙ্গাসাগরে ছুটে আসার নজির রয়েছে। এবারও গঙ্গাসাগর মেলা ঘিরে ভিড় কার্ত উপচে পড়ার জোগাড়।  সোমবার মকর সংক্রান্তি, তার আগে থিকথিকে ভিড় গঙ্গাসাগরে। পুণ্যস্নানে অংশ নিতে দলে দলে লোকজন ছুটে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। ড্রোন, এবং স্পিডবোটে চলছে নজরদারি।  একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। 


আগামী কাল মকর সংক্রান্তি।  তার পর দু'দিন ধরে চলবে পুণ্যস্নান। মনোস্কামনা পূরণের আশায় গঙ্গাসাগরে ডুব দেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী৷ সাগরের জলে ডুব দিয়ে, কপিল মুনির আশীর্বাদ নিয়ে ফিরবেন নিজ নিজ বাড়ি। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্তই গঙ্গাসাগরে ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী এসে ভিড় করেছেন। সংখ্যাটা আরও বেড়ে চলেছে লাগাতার। সোমবার সকাল ৯টা বেজে ১৩ মিনিটে, সাগরস্নানের মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা করছেন সকলে।


প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলা ঘিরে বাড়তি উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষজন ছুটে আসেন। ভক্তজন থেকে সন্ন্যাসী, বিদেশিদেরও আনাগোনা থাকে এই গঙ্গাসাগরে। সবমিলিয়ে গঙ্গাসাগরের বুকেই গড়ে ওঠে এক টুকরো ভারত। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি, কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করো এদিন সকাল থেকে সাগরে স্নান করেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী।


আরও পড়ুন: BJP Leader Marijuana Business: ‘বাবার আমল থেকেই ব্যবসা, দলই ফাঁসিয়েছে’, বাড়ি থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধারে স্বীকারোক্তি BJP নেতার


পুণ্যার্থীদের জন্য নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর এবং আশপাশের এলাকা। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। যে সব ঘাট দিয়ে পুণ্যার্থীরা আসছেন, সেই ঘাটগুলি ঘুরে দেখেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস। তিনি বলেন, "কালই এসেছি সাগরে। রাতে ছিলাম কচুবেড়িয়ায়। সকালে আবার চলে এসেছি। এখানে পাঁচটি ঘআটে সবকিছু ঠিকঠাক এগোচ্ছে কি না, সরকারি আধিকারিক এবং দমকলের সঙ্গে মিলে দেখভাল করছি। মুখ্যমন্ত্রী সবরকম ব্যবস্থাই করেছেন। আমাদের দায়িত্ব এঁদের সকলকে সঠিক পরিষেবা দেওয়া। অন্য মন্ত্রীরাও এসেছেন, তদারকি করছেন। "


ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরে পৌঁঁছছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেন। রয়েছেন অরূপও।  আকাশপথে এবং জলপথে চলছে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন ওড়ানোর পাশাপাশি, স্পিড বোট এবং হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনারা।