সুনীত হালদার, হাওড়া: ফের গঙ্গাসাগরের মেলায় গিয়ে (Gangasagar Mela 2024)  অসুস্থ হয়ে পড়া এক পুর্ণার্থীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হল কলকাতার হাসপাতালে।


জানা গিয়েছে,আজ সকাল ১১ টা ৩৫ নাগাদ গঙ্গাসাগরে অসুস্থ এক পুর্ণার্থী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয়েছে ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে। গঙ্গাসাগরে হৃদরোগের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।  তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উড়িয়ে আনা হয় চিকিৎসার জন্য। ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে কলকাতার এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি রাজস্থান ঢোলপুরের বাসিন্দা। বছর ৬০ এর ওই মহিলার নাম শুগুনা দেবী।


এদিকে এমনই আরও একটি ঘটনা ঘটেছে গতকাল। সাগর মেলায় পুণ্যস্নানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন এক প্রৌঢ়া। বিহারের বাসিন্দা সুমিত্রা দেবী এসেছিলেন কপিল মুনির আশ্রম দর্শনের আশায়। কিন্তু এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি যে এয়ার লিফট করে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। গঙ্গাসাগর থেকে প্রথমে এয়ারলিফট করে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম লাগোয়া হেলিপ্যাডে আনা হয় তাঁকে। তারপর কলকাতার হাসপাতালে।সূত্রের খবর, বিহার থেকে তীর্থ করতে এসে সাগরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেখানকার মেডিক্যাল ক্যাম্পে চেক আপের পর তাঁকে  তড়িঘড়ি কলকাতায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই মতোই তাঁকে ভর্তি করা হয় টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতালে। 


 মুখ্যমন্ত্রী এবার জানিয়েছেন, ৫ লক্ষ ইন্স্যুরেন্স সহ গণ পরিবহন, চিকিৎসার ব্যবস্থা সম্পর্কে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,'মেলায় যাঁরা আসছেন তাঁদের জন্য ইন্স্যুরেন্সের সুবিধা থাকছে। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইন্স্যুরেন্স দেওয়া হবে। পুলিশ, ভলেন্টিয়ার, তীর্থযাত্রী সহ সাংবাদিকরা এই সুবিধা পাবেন। গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও সমস্যা হলে রয়েছে টোল ফ্রি নম্বরও। এবারের মেলায় মোট ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে। আড়াই হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছ’টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, একশোটি লঞ্চ, অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'SSKM-কে রিসর্টে পরিণত করেছে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তরা', বিস্ফোরক অভিযোগ অধীরের


এর পাশাপাশি জিপিএস ট্র্যাকিং, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং করা হবে। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স ও অন্যান্য ভলেন্টিয়ারও নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু মেলার জন্যই ৩০০ বেডের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, প্যারা মেডিক্যাল থাকবেন। ক্রিটিক্যাল কেয়ারের রোগীদের জন্য থাকছে গ্রিন করিডরের বন্দোবস্ত।'