কলকাতায়: হঠাৎ অসুস্থ হলে রাজ্যের শাসকদলের অধিকাংশ হেভিওয়েটরা আজও এসএসকেম-ই ছুটে যান। বলাইবাহুল্য ভরসা কতদূর। সংবাদমাধ্যমে এই দৃশ্য দেখে মুখস্থ রাজ্যবাসীর। তবে মামলায় নাম জড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে পড়েও, অতীতে একাধিক বার তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের এই সরকারি হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ডে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে। সেই তালিকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনুব্রত মন্ডল, মদন মিত্র, কে নেই সেখানে ? এমনকি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টানা দীর্ঘ সময় এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে, সাধারণ মানুষরা আদৌ কতটা পরিষেবা পাচ্ছেন এই হাসপাতালে ? লোকসভা ভোটের আগে প্রশ্ন তুলে এদিন অভিযানে নামল কংগ্রেস। আর অভিযানে অংশ নিয়ে কার্যতই রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র করলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।
SSKM হাসপাতালকে তৃণমূলের চোর-দুর্নীতিগ্রস্তরা রিসর্টে পরিণত করেছে। বঞ্চিত হচ্ছে গরিব, মুমুর্ষু রোগীরা। শিশুদের আইসিসিইউ বেড পর্যন্ত দখল করে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগে দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের তরফে ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে বিক্ষোভ। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না, বিক্ষোভে এসে অভিযোগ অধীর চৌধুরীর। জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে বাঁচতে এসএসকেএমে আশ্রয় নেন শাসক নেতারা, অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল করে এসএসকেএমের ডিরেক্টরকে ডেপুটেশন জমা দিতে যাচ্ছে কংগ্রেস (Congress)।
আরও পড়ুন, 'উত্তরপ্রদেশেও পিসি-ভাইপো চলেনি, বাংলাতেও..', I.N.D.I.A বৈঠকের দিনে খোঁচা অনুরাগের
সম্প্রতি এসএসকেম ইস্যুতে চাকদার বিজেপি বিধায়কের নিশানায় পড়েছিল শাসকদল। মূলত দুর্নীতির মামলায় (Corruption) নাম জড়ানোর পর, এসএসকেম-এ একাধিকবার শাসকদলের (TMC) হেভিওয়েটদের ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে। নারদ মামলায় (Narad Scam) ফিরহাদ হাকিম ব্যতীত শোভন-মদন-সুব্রতদের (প্রয়াত) অতীতে এই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাহীন হতে দেখা গিয়েছে। এরপর গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam) নাম জড়ানোর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে একাধিকবার বুকে ব্যথা উঠে এসএসকেম-এ যেতে দেখা গিয়েছে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলকেও (Anubrata Mandal)। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও (Partha Chatterjee)। একেবারে হালের কথা বললে রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) অভিযুক্ত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও এই সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন (Jyotipriya Mallick)। তবে সম্প্রতি সেই এসএসকেম-এই উল্টো ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। দশদিন ধরে চেষ্টা সত্ত্বেও বিজেপি নেতাকে এসএকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে না পারার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ (BJP MLA Bankim Ghosh)।