হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে কচুবেড়িয়ায় মুড়ি গঙ্গায় আটকে গেল বার্জ! চরম হয়রানির শিকার হলেন পুণ্যার্থীরা। যা নিয়ে সাময়িক ক্ষোভের মুখে পড়তে হল পরিস্থিতি সামাল দিতে আসা দমকলমন্ত্রীকে। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় স্বাভাবিক হল পরিষেবা।
মুড়িগঙ্গার চরে আটকে গেল বার্জ। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হল গঙ্গাসাগর থেকে ফেরা পুণ্যার্থীদের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসা দমকলমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন পুণ্যার্থীদের একাংশ। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ, কচুবেড়িয়া থেকে লট এইটে যাওয়ার জন্য ছাড়া হয় এই বার্জটি। কিন্তু শুরুতেই পুণ্যার্থী বোঝাই বার্জটিতে ত্রুটি দেখা যায়। নদীর চরে আটকে যায় বার্জের অংশ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সেইসময় তাঁকে দেখে বার্জের ওপর থেকে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন পুণ্যার্থীদের একাংশ। এইভাবে প্রায় তিন ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পর, বার্জ থেকে বেশ কিছু পুণ্যার্থীদের নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এর কিছুক্ষণ পর সচল হয়ে ওঠে বার্জটি।
আরও পড়ুন, যাত্রা শুরুর তৃতীয় দিনেই হোঁচট, গঙ্গায় আটকে গেল গঙ্গা বিলাস ক্রুজ
অন্যদিকে, রবিবার রাত নটা নাগাদ, আচমকা মুড়ি গঙ্গায় আটকে যায় দুটি ভেসেল! তাতে প্রায় ৮০০ পুণ্যার্থী ছিলেন। এদিন দুপুরের দিকে স্থানীয় প্রশাসন ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় দুটি ভেসেলকে ফিরিয়ে আনা হয় লট এইটে।
অন্যদিকে, যাত্রা শুরুর ৩দিনেই হোঁচট, গঙ্গায় আটকে গেল গঙ্গা বিলাস ক্রুজ! নদীর নাব্যতা কম থাকায় বিহারের ছাপরায় আটকে গেল গঙ্গা বিলাস ক্রুজ! ১৩ জানুয়ারি বারাণসী থেকে গঙ্গা বিলাস ক্রুজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫১দিনের যাত্রার ৩দিনের মাথায় বিভ্রাট, নাব্যতা কম থাকায় আটকাল বিলাসবহুল ক্রুজ। ক্রুজ আটকে যাওয়ায় ছোট নৌকো দিয়ে পাড়ে আনা হল যাত্রীদের । ৫১দিনের ক্রুজ যাত্রায় ভারত ছাড়াও বাংলাদেশের নদীতেও ঢুকবে এই ত্রুজ। ভারতীয় মুদ্রায় বিলাসবহুল এই ত্রুজের প্রতিদিনের ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা, বাংলাদেশ, অসম-হয়ে ২৭টি নদী পার করার কথা এই ত্রুজের । যদিও, নাব্যতার সমস্যার জন্য নয়, পর্যটকদের ঘুরে দেখানোর জন্যই ক্রুজ থামানো হয়েছিল বলে দাবি ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়ার।